পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి ఢ করুণা উত্তর হইল “ই ।” “কয় জন ?” “তিন জন ৷” “কোথায় আছে ?” "মজুত্র-বিচারের ঈশান কোণে, বিশ্ববৃক্ষের নিম্নে।” “তাহাদিগের উপর লক্ষ্য রাখিয়াছ ?” “হঁ৷ ” “সঙ্ঘারামের দ্বার রুদ্ধ কর, আমি যাইতেছি ।” 43 ভিক্ষু প্রণাম করিয়া প্রস্তান করিল, তখন প্রথম ভিক্ষু দীপ নিৰ্ব্বাপিত করিয়া গর্ভগৃহ পরিত্যাগ করিল । সেই সময়ে আর একজন দীর্ঘাকার পুরুষ চৈত্য-গৰ্ভ হইতে নির্গত হইয়া চৈত্যের পশ্চাতে লুক্কারিত হইল । তাঙ্গর সমস্ত অবয়ব, কৃষ্ণবস্ত্রাবৃত, সুতরাং আগন্তুক বা সজারামবাসী কেহই তাহাকে লক্ষ্য করিল না । মুরারি ও ঋষভদেবকে বৃক্ষতলে রাখিয়া গোবিন্দ গুপ্ত উদ্যান মধ্যে অগ্রসর হইলেন। বৃক্ষ সমূহের নিম্নে অন্ধকারের আশ্রয়ে কিয়ুদূর অগ্রসর হইয়। তিনি দূরে শ্বেতবস্থাবৃত মনুষ্যমূৰ্ত্তি দেখিতে পাইলেন, মনুষ্যমূৰ্ত্তি তাহাকে দেখিয়া অগ্রসর হইল। উভয়ে একটি ক্ষুদ্র পুষ্প-বৃক্ষের নিম্নে সম্মুখীন হইলেন। গোবিন্দগুপ্ত বিশ্ববৃক্ষ ত্যাগ করিবামাত্র মুরারি ঋষভদেবকে কহিল, “ঠাকুর, আমি চলিলাম, তুমি এই বৃক্ষতলে স্থির হইয়া বসিয়া থাক, নড়িলেই মরিবে ।” ব্রাহ্মণ কাতরকণ্ঠে কহিল, “মুরারি, এক থাকিলেও যে মরিব ?” “মরিতে হয় মরিও, এখন অধিক কথা কহিবার অবসর নাই।” মুরারি এই বলিয়া সৰ্পের ন্যায় বুকে হাটিয়া অন্ধকারে অদৃশু হইল । ব্রাহ্মণ ভয়ে বৃক্ষকাও দৃঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করিয়া বসিয়া রহিল। কিয়দুর অগ্রসর হইয়া মুরারি, ক্ষিপ্রগতিতে এক বৃক্ষে আরোহণ করিল। সেই বৃক্ষে তিন চারি জন মনুষ বসিয়াছিল, সে তাহাদিগকে অস্ফুট স্বরে কহিল, “সময় হইয়াছে।” তাহাদিগের মধ্যে একজন পেচকের দ্যায় শব্দ করিল, তখন উদ্যানের বহু বৃক্ষ হইতে বহু নিশাচর পক্ষীর রব শ্রত হইল, সঙ্গে সঙ্গে শতাধিক অস্ত্রধারী পুরুষ বৃক্ষ হইতে অবতরণ করিয়া চারিদিক হইতে গোবিন্দ গুপ্ত ও তাহার সঙ্গীকে বেষ্টন করিল, মহারাজপুত্র অথবা