পাতা:কলিকাতা কল্পলতা - রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায় “হিন্দু-স্টুয়ার্ট” কহিতেন, কারণ তিনি ভেদজ্ঞানী ছিলেন না। খৃষ্ট এবং কৃষ্ণকে সমতুল্যজ্ঞানে তিনি আরাধনা করিতেন। হালসীর বাগানে উমাইচাঁদ নামক প্রসিদ্ধ ধনকুবের বাস করিতেন। অন্যূন ৪০ বৎসরাধিক এই ব্যক্তি কোম্পানীর সহিত বাণিজ্য করিয়া বিপুল বিভবের অধীশ্বর হইয়া ভূপালবৎ মহা আড়ম্বরে কালযাপন করিতেন। কলিকাতার প্রথম অবস্থায় তিনি তদ্রত্য* অধিকাংশ বাটী ও ভূমির অধিকারী ছিলেন।ক্লাইভ সাহেব পলাশীর যুদ্ধেতাহাকে ত্রিশ লক্ষ টাকা উৎকোচ প্রদানের অঙ্গীকার করিয়া পশ্চাৎ তাহাতে চাতুরীকায় উমাইষ্টাদক্ষিপ্তহইয়া প্রাণত্যাগ করেন। বৈঠকখানা নাম হইবার তাৎপৰ্য্য এই যে মহারাট্টারা গঙ্গার পশ্চিম পারে মহা অত্যাচার করাতে পূৰ্ব্বে পূৰ্বাঞ্চল হইয়া বাণিজ্যকাৰ্য্য চলিত সুতরাং বৈঠকখানাই উত্তর ও পশ্চিম দেশে যাইবার সিংহদ্বারস্বরূপ ছিল। ঐ স্থানে এক প্রকাণ্ড বৃক্ষতলে ব্যবসায়ীগণ সমবেত হইয়া যাত্রা করিতেন। তজ্জন্য বৈঠকখানা নাম হইয়াছে—ঐ বৃক্ষ এক্ষণে বর্তমান নাই। বৈঠকখানায় পূৰ্ব্বে ৭০ পাদ উচ্চ এক রথ ছিল। শিয়ালদহে পূৰ্ব্বে ধান্য জন্মিত। একশত বৎসর হইল উক্ত অঞ্চলের বক্স একটা জঙ্গল ছিল। এইখানে নবাবী সেনার সহিত ইংরাজদিগের ঘােরতর যুদ্ধ হয়।ইং ১৭৮১ অব্দে হেষ্টিংশ সাহেব মুসলমানদিগের বিদ্যাভ্যাস নিমিত্ত পুরাতন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন—১৮২৪ অব্দে সেখান হইতেকলিঙ্গাস্থ নূতন অট্টালিকাতে

। তদ্ৰত্য • সেখানকার

১০১

১০১
১০১