পাতা:কলিকাতা কল্পলতা - রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্ঠম অধ্যায় বংশধরীগণ অধুনা বাবুর্চি ও আয়ার কাজ করিয়া উদর পােষণ করিতেছে। ইং ১৭৮৮অব্দে তিরেটা নামক একজন ফরাসী কর্তৃকতিরেটা (তেরিটি) বাজারের সৃষ্টি হয়। ঐ সাহেব কোম্পানীর রাস্তা ও ইমারতের সুপ্রীনটেণ্ডেন্ট ছিলেন।তাহার সময়ে ঐ বাজার হইতে মাসিক ৩৮০০ টাকা আয় হইত। পরে তেরিটি সাহেব দেউলিয়া পড়িলোহার উত্তমর্ণগণ ঐ মূল্য নির্ধারণপূৰ্ব্বক ঐ বাজার লটারী দ্বারা বিক্রয় করেন। তেরেটি বাজারের অন্যধারে ওয়েষ্টন নামক একজন উদ্যমী, দাতা, সদাশয় সাহেবের বসতবাটী ছিল। তিনি প্রতিমাসেকলিকাতা নগরীর দুঃখী লােকদিগকেস্বহস্তে ১৬০০টাকা দান করিতেন। লালবাজার হইতে লালগীর্জায় গমনীয় যে বর্ক্স এখন মিশন রাে নামে খ্যাত হইয়াছে, তাহা পূৰ্ব্বে রােপওয়াক নামে প্রসিদ্ধ ছিল। ইং১৭৬৮অব্দেউক্ত গীৰ্জাকির্পাণ্ডার সাহেবকর্কপ্রতিষ্ঠিত হয়। এই গীর্জা অপেক্ষা ইংরাজদিগের আর কোন গীর্জা পুরাতন নহে—এজন্য সাহেবরা তাহাকে পুরাতন গীৰ্জাবলেন।ঐ গীর্জার পূৰ্ব্বেপুরাতন দুর্গমধ্যে যে গীর্জা ছিল, তাহা মুসলমানেরা ভঙ্গপূৰ্ব্বক এক মসজিদ নির্মাণ করিয়াছিল। কিলাণ্ডার সাহেব অর্ধলক্ষ টাকা ব্যয় করিয়া লালগীর্জা নির্মাণ করান। সেইব্যয়নিৰ্বাহ নিমিত্ত তিনি স্বীয় বনিতার অলঙ্কারাদিবিক্রয় করিয়াছিলেন। ইংরাজী গত শতাব্দীতে লালদিঘি নগরের মধ্যস্থলবর্তিনী বলিয়া বিখ্যাত ছিল। ইহাতেই তখনকার নগরের পরিসর কেমন ছিল, তাহা বিলক্ষণ হৃদয়ঙ্গম হইবে। এই লালদিঘি খননের দিন নির্ণয় হয় না। কোন প্রাচীন গ্রন্থকার ১৭০২ অব্দে লেখেন যে,কলিকাতার গভর্ণর সাহেবের ফলমূল সঞ্চয়ার্থে একটি উদ্যান ও মৎস্য

৯৭

৯৭
৯৭