পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১০২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায়। ৯৮৩ বিগ্রহ, দর্শনে মুগ্ধ হইয় তাহাকে কৌশল করিয়া স্বগৃহে লইয়া আসেন।” মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র, এই ঘটনার কথা গবর্ণরের গোচৰু করিলে, নবকল্প গোপীনাথ ফিরাইয়া দিতে আদিষ্ট হন । এ দিকে নবকৃষ্ণও গোপীনাথের - অনুরূপ আর একটা গোপীনাথ প্রস্তুত করাইয়। মহারাজ। কৃষ্ণচন্দ্রকে আসলটা বাছিয়া লইতে বলেন। গোপীনাথের পুরোহিত, স্বপ্নে গোপীনাথের আদেশ পাইয়া, ঘৰ্ম্ম-চিহ্ন দর্শমে আসলটা বাছিয়া লয়েন। ইহাতে নবকৃষ্ণ অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ হইয়৷ শ্ৰীগোবিন্দ ও দ্বিতীয় শ্ৰীগোপীনাথকেই প্রতিষ্ঠিত করিতে বাধ্য হন। তাহার এই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার সময়, বল্লভপুরের রাধাবল্লভ, সাইবনের নন্দদুলাল, খড়দহের খামসুন্দর, অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ প্রভৃতি প্রসিদ্ধ বিগ্রহ তাহার ভবনে আনীত হইয়াছিল । পণ্ডিতগণের সঙ্গে সঙ্গে মহারাজা নবকৃষ্ণ বহু গায়ককে মাসিক সাহায্য প্রদান করিয়া উৎসাহিত করিতেন। কবির দল ও আখড়াই গানের জন্য প্রসিদ্ধ রামনিধি গুপ্ত (নিধি বাবু), হরেকৃষ্ণ দীর্ঘাঙ্গা (হরুঠাকুর ), নিতাই বৈষ্ণব প্রভৃতি কবিওয়ালা তাহার সভায় প্রতিপালিত হইতেন । এতদ্ভিন্ন তাহার অন্তান্ত বহুবিধ দানও ছিল । তৎকালে গঙ্গাঙ্গ বড় বড় জাহাজ কেবল কলাগাছি পর্য্যস্ত আসিতে পারিত। যাত্রীগণের সুবিধার জন্য তিনি বেহালা হইতে কুলপী পৰ্যন্ত ১৬ ক্রোশ দীর্ঘ একটী পাকা রাস্ত প্রস্তুত করাইয়া দেন। উহা “রাজার-জঙ্গল” নামে বিখ্যাত হয় । আজিও এই পথ বর্তমান আগছে। wo কেবল স্বধৰ্ম্মাবলম্বীগণের প্রতি নহে, ভিন্নধৰ্ম্মাবলম্বীগণের প্রতিও তাহার যথেষ্ট সহানুভূতি ছিল। ১৭৮৩ খ্ৰীষ্টাব্দে, কলিকাতায় গির্জা নিৰ্ম্মাণের জন্স হেষ্টিংস ইংরাজ মহল হইতে মাত্র ৩৬০০০< টাকা •টাদা তুলিতে পারিয়াছিলেন, কিন্তু নবকৃষ্ণ একাকীই পুরাতন কেল্লার निरूप्लेबउँ cशांद्भन्हांन ७ গোলা বারুদের আড্ডার জমী ৪৫৭৭৭২ টাকায় ক্রয় করিয়া ইংরাজগণকে দান করেন। এইস্থানে যে গির্জা নিৰ্ম্মিত হয়, তাহাই সেন্ট-জন্স, চার্চ ৰ৷ পাথুরে-গীর্জা। নবকৃষ্ণের এই দান সম্বন্ধে অঙ্গন্ত কথা আমরা পূর্বেই বলিয়াছি । - হেক্টংস কলিকাতা মাত্রাস স্থাপন করিয়ছিলেন, কিন্তু ইহাপ্রতিষ্ঠার টাকা নবকৃষ্ণ প্রদান করিয়াছিলেন। হেষ্টিংস কোম্পানীর প্রাপ্য ভাষায় খ৭ মিটাইবার জন্ত, মহারাজ নবকৃষ্ণের নিকট হইতে খত লিখিা, ভিন লক্ষ ঋণ গ্রহণ করেন, ইহারই কতকাংশ হইতে মাদ্রাস প্রস্তুত হয়। :