পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫e কলিকাতা সেকালের ও একালের । ইংরাজের হুগলী লুণ্ঠন ও সুতানুটতে আগমন । এইবার আমরা ইংরাজ বাণিজ্যের একটা আবশ্বকীয় স্তরে আসিয়া পড়িয়াছি। এই সময়ে, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কৰ্ম্মচারীরা, এদেশে যে সমস্ত অঘটন ঘটনা ঘটাইয়াছিলেন, তাহাই এই স্বর্ণপ্রস্থ ভারতে ব্রিটিশ সৌভাগ্য লক্ষ্মীর প্রতিষ্ঠা করে। সেইজন্তই আজ আমরা ইংরাজের সৌভাগ্যের অংশ ভাগী হইয়া মুখে ও নিরাপদে ইংরাজ রাজত্বে বাস করিতেছি । কোম্পানী বাহাদুরের বিলাতের কৰ্ত্তারা,অনেক বিবেচনার পর, সারকথা বুঝিলেন—মোগলেরা যেরূপভাবে ইংরাজ বণিক-সম্প্রদায়ের উপর নানাবিধ অত্যাচার করিতেছেন, তাহার প্রতিকার বাহুবলের সাহায্যেই করিতে হইবে। মুখ বুজিয়া অত্যাচার সহ করিয়া—তাহীদের কৃপাভিখারী হইয়া চলিলে তাহাদের উদ্দেশ্যসিদ্ধির পথে প্রতিদিনই অসংখ্য অন্তরায় উপস্থিত হইবে। বাণিজ্য করিতে ইংরাজ-বণিক এদেশে আসিয়াছে বটে, এ পর্য্যস্ত মোগল শাসনকৰ্ত্তাদের খামখেয়ালির জন্য তাহারা পদে পদে লাঞ্ছিত হইয়াছে বটে, কিন্তু প্রয়োজন বুঝিলে বাণিজ্যের সহিত, বাহুর শক্তি সম্মিলিত করিবার ক্ষমতা যে তাহীদের নাই—এরূপ নহে । এরূপ প্রয়োজন স্থলে, এবার হইতে কৃপণভিক্ষা না করিয়া, বাহুর শক্তির প্রভাবে দাবিদাওয়া আদায়ের চেষ্টা করা কৰ্ত্তব্য। f কোট অব ডিরেক্টারেরা, বাঙ্গলায় একটা মুরক্ষিত দুর্গনিৰ্ম্মাণের জন্য বড়ই সমুৎসুক হইলেন। কিন্তু সে দুর্গ কোথায় প্রতিষ্ঠা করা যায়, ইহাই তখন এক মহাসমস্যা হইয়া দাড়াইল । বাণিজ্যের হিসাবে ধরিতে গেলে, হুগলীই প্রশস্ত ক্ষেত্র। কিন্তু হুগলীতে দুর্গনিৰ্ম্মাণে বিশেষ ফললাভের সম্ভাবনা নাই। মোগলশক্তির প্রভাব হইতে বহুদূরে থাকিয়া, এ আশ্রয়কেন্দ্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিতে হইবে। চট্টগ্রাম হস্তগত না করিতে পারিলে পূর্ণরূপে, আশাসিদ্ধির সম্ভাবনা মুদূরপরাহত । কিন্তু চট্টগ্রাম হস্তগত করা বড় সহজ ব্যাপার নহে । চট্টগ্রাম তখন পটুগীজদিগের দানবশক্তি বিমুক্ত হইলেও, মোগলশাসন তথায় দৃঢ়ৰূপে সুপ্রতিষ্ঠিত। - এই মহাসমস্যায় মীমাংসার ভার, জব চার্ণকের উপর পুড়িল। এই জন চার্ণকই কলিকাতা প্রতিষ্ঠাতা, এই জব চার্ণকই ধরিতে গেলে—ভারতে ইংরাঙ্গ রাজলক্ষ্মীর প্রধান প্ৰবৰ্ত্তক। কিন্তু এ হেন প্রতিভাবান লোক*ে ইতিহাস, উপযুক্ত সন্মান প্রদর্শন করেন নাই—ইহঁর অমানুষিক প্রতিষ্ঠা