পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একfদশ অধ্যায় } ২৮৫ কলিকাতা এড়াইল বেণিপুর বালা বেতোড়েতে উত্তরিল অবসান বেলা ৷” বেতাই-চণ্ডিক পূজা কৈল সাবধানে ধনন্ত গ্রাম খানা সাধু এড়াইল বামে। ডাইনে এড়াইয়া যায় ছিঞ্জিলির পথ রাজহংস কিনিয়া লইল পারাবত। কালীঘাট এড়াইল বেনিয়ার বালা কালীঘাটে গেল ডিঙ্গ অবসান বেলা । মহাকালীর চরণ পূজেন সওদাগর তাহার মেলান বেয়ে যায় মাই নগর । শ্ৰীমন্ত সওদাগর কলিকাতা, উৰ্ত্তীর্ণ হইয়া ধনন্তগ্রাম প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, কবির বর্ণনানুসারে, এই ধনন্তগ্রাম সেকালের গোবিন্দপুর বলিয়া বোধ হয়। শ্ৰীমন্ত, পরপারস্থ বেতাই-চণ্ডিকার পূজা করিয়া অাদ্যগঙ্গায় প্রবেশ কালে, ধনস্তগ্রাম খানি বামদিকে দেখিয়াছিলেন। “ধনন্ত” শব্দ "ধনস্থের" অপভ্রংশ। ধনস্থ শব্দের সঙ্গত অর্থ—যে গ্রামে ধন আছে বা ধনীগণ বাস করেন । বসাকের চণ্ডীকাব্য রচনার পূৰ্ব্বে, সপ্তগ্রাম হইতে আলিয়া গোবিন্দপুরে বাস করেন । তাহারা যে এই গ্রামের আদিম অধিবাসী তাঙ্গার আর কোন সন্দেহ নাই। তঁহীদের পরই, কালীঘাটের হালদার হঃাশয়গণের পূর্বপুরুষগণ ও কলিকাতা ঠাকুরগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষ, বহু পরে গোবিন্দপুরে অসিয়া বাস করেন । কাপ্তেন আলেক্জাণ্ডার হামিণ্টন ১৭০৬ খঃ অব্দে অর্থাৎ জব চার্ণক কর্তৃক কলিকাতা স্থাপনের ষোল বৎসর বেতড় বা বেতোড় আধুনিক ব্যাটরা। উই৷ হাবড়া ষ্টেশন হইতে এক মাইল পশ্চিমে। বেতড়ীর গালকে বেতাকার গাল বলে। উহার মোহান আদিগঙ্গার মোহানার ঠিক সম্মুখে । পুল পৰ্টুগীজ বণিকের ঐ খাল দিয়া সপ্তগ্রামে যাতায়াত করিতেন। বেতাই-চণ্ডীর পূজা উপলক্ষে, সেই স্থানে অতীতকালে এক মহtমেলার অনুষ্ঠান হইত। ফ্রেডরিক সিজার নামক *াক্ত সম সাময়িক ভ্রমণকারী ১৫৭০ খৃঃ অব্দে বাঙ্গলায় আসেন। তিনি বেতাকীর খালে চড়া পড়িতে দেখিয়। গিয়াছিলেন । তৎপরে মুকুন্দরামের সময়ে ঐ খাল একেবারেই বন্ধ ইয়া যায়। বেতাকার থাল বন্ধ হইলে, ইংরাজ ও পটুগীজ বণিকেরা, হুগলী যাতায়াতকালে ভাগিরথী দিয়৷ যাইতেন। তখন সপ্তগ্রাম হইতে আসিবার সময় গরিফা, গোপালপাড়া, গৈপুর, মহেশ, খড়দা, কোন্নগর, চিৎপুর, শলিখা প্রভৃতি গ্রামগুলি অতিক্রম করিয়া গণকাতা ও গোবিন্দপুরের সন্মুখ দিয়া অদগঙ্গায় প্রবেশ করিতে হইত। ফ্রেডরিক লিখিয়া*"Buttor a good tides rowing before you come to Satgaw from thence "Wards the ships do not go because the river is very shallow. The small *ps go to Satgow and there they lade. {