পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২০ कुंभंप्लक्ानी । চাপের যেরূপ স্বরূপ বর্ণনা করিলে, বোধ হয়, আমি তাহারই বাণপাতের পথবর্তী হইয়া থাকিব। এক্ষণে কি কৰ্ত্তব্য উপদেশ দাও । এই কথা শুনিয়া আমি প্রবোধবাক্যে বলিলাম দেবি ! কত শত বিখ্যাত অবলাগণ ইচ্ছাপূর্বক স্বয়ম্বরবিধানে প্রবৃত্ত হইয় আপন অভিলাষ সম্পাদন করিয়া থাকেন ; অথচ লোকসমাজে নিন্দনীয় হয়েন না । আপনিও স্বয়ম্বরবিধানের আয়োজন করুন ও এক খানি পত্রিকা লিখিয়া দেন। সেই পত্রিকা দেখাইয়া আমি রাজকুমারকে আনিয়া আপনার মনোরথ পূর্ণ করিতেছি। এই কথায় অতিশয় হৃষ্ট হইয়া প্রীতিপ্রফুল্ল নয়নে ক্ষণ কাল অনুধ্যান করিয়া কহিলেন তাহারা অতিশয় সাহসকারিণী যাহারা স্বয়ম্বরে প্রবৃত্ত হয় ও মনোগত কথা প্রিয়তমের নিকট বলিয়া পাঠায়। কুমারীজনের এতাদৃশ প্রাগলভ্য ও সাহস কোথা হইতে হইবে ? কি কথাই বা বলিয়া পাঠাইব ? তুমি আমার অত্যন্ত প্রিয়, এ কথা বলা পৌনরুক্ত। আমি তোমার প্রতি সাতিশয় অনুরক্ত, বেশবনিতারাই ইহা কথা দ্বারা ব্যক্ত করিয়া থাকে। তোমা ব্যতিরেকে জীবিত থাকিতে পারি না, এ কথা অনুভববিরুদ্ধ ও অবিশ্বাস্য। যদি তুমি না আইস, আমি স্বয়ং তোমার নিকট যাইব, এ কথায় চাপল্য প্রকাশ হয়। প্রাণপরিত্যাগ দ্বারা প্রণয় প্রকাশ করিতেছি, এ কথা আপাততঃ অসম্ভব বোধ হয়। অবশ্য এক বার আসিবে, এ কথা বলিলে গৰ্ব্ব প্রকাশ হয়। তিনি এখানে আসিলেই বা কি হইবে ; যখন হিমগৃহে তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইয়াছিল, তিনি কত কথা কহিলেন ; আমি তাহার সমক্ষে একটিও মনের কথা ব্যক্ত করিতে পারিলাম না। আমার