পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S3 কাব্যের কথা কথা বলি নাই, আমি কবিতার রাজ্যের কথা বলিয়াছি, কাব্য-লোকের কথা বলিয়াছি। এই কাব্য-লোকের কোন সীমা নাই। এ রাজা অসীম, অনন্ত । জীবনের পরিসর যদি বাস্তবিকই বাড়িয়া থাকে, কবিতার বিষয়ও তাহার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িয়ছে, সে সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই। ইবসেন হইতে কাড়াকড়ি করিয়া কবিতার বিষয় সংগ্ৰহ করা। সম্ভব হইতে পারে। নানা ফুলে মধুপায়ী ভ্ৰমরের মত মেটারলিঙ্কের পত্রে পত্ৰে মধু আহরণ করা চলিতে পারে। আমরা সে বিষয়-বৈচিত্র্যে মুগ্ধ হইয়া কবির নৈপুণ্যেরও যথেষ্ট প্ৰশংসা করিতে পারি। কিন্তু কবি যদি সেই কাব্যলোকে প্ৰবেশ করিতে না পারেন, তবে তাহার কবিতা বৃথা । একদিনে তাহা লোকের মন চমকাইয়া দিতে পারে, কিন্তু তাহা চিরদিনের জিনিস নহে। বিষয় যাহাই হউক না কেন, কবির অন্তদৃষ্টি থাকা চাই, সেই মহামিলনমন্দিরের সাধক হওয়া চাই। সে অন্তঃ প্ৰকৃতির সাক্ষাৎ দর্শন আবশ্যক। সে মন্দিরে যে সঙ্গীত-স্রোত চিরকাল প্রবাহিত হইতেছে তাহাতে অবগাহন করা চাই-ভাস চাই-ডুবা চাই ! নতুবা দুরে দাড়াইয়া, বিষয় হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া, মনগড়া, কল্পিত ভােবরাশি খুব ওস্তাদী রকমের ছন্দে প্ৰকাশ করিলেও কবিতা হয় না। বাঙ্গল কবিতার সেই সরল সত্য প্ৰাণ আমরা হারাইতে বসিয়াছি বলিয়াই আমাদের কবিতার ভাষা ও ধরণ ক্রমশঃ কিন্তুতি-কিমাকার এহইয়া আসিতেছে । আজকালকার দিনে । এই হিয়া দগদগি পরাণ পোড়নি কি দিলে হইবে ভালএই ভাবটি প্ৰকাশ করিতে হইলে নানারকম উপমার আবশ্যক হয়। ইহাকে ঘুঙ্কাইয়া ফিরাইয়া ছানিয়া বুনিয়া ফেনাইয়া ফেনাইয়া বলিতে হয়। তা’ না হইলে নাকি কবিতা হয় না। আজকাল আমরা সবাই