পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে এ সময় তার পিসতুতো ভায়ের বিয়েতে চলে গেল,—স্বামীর এ অবস্থা দেখে কখন যে কোন স্ত্রী বিয়ের আমোদ কর্তে যেতে পারে, এমন কথা কখনতো কারুর মুখে মা কোন দিন শুনিনি। চিরদিন মা শুনে এসেছি, স্বামীর পায়ে একটু কাটা ফুটুলে সে বেদনাটুকুও স্ত্রী অনুভব করে। তবে মা এমন হ’লো কেন ? সে বড় ছেলে মানুষ, সে হয়তো মা বুঝতেই পাচ্ছে না যে, দুদিন পরে তবে সব আমোদ প্রমেদ ফুরিয়ে যাবে।” কাত্যায়নী পুত্রের কথার কোন উত্তর দিতে পারিলেন না,— টস্টস করিয়া কেবলই তাহার নয়ন ক্ষাটিয়া অশ্র গড়াইয় পড়িতে লাগিল। নরেন্দ্রনাথ আবার কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া একটা বুকভাঙ্গা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিতে লাগিল,—“ম আমার মনে হয়, মানুষ সব কথা সব সময় বুঝতে পারে না । তারা না বুঝে এমন অনেক কাজ করে বসে যার জন্যে চিরদিন অনুতাপ করেও শেষ কর্তে পারে না । তাই মা আমার সময় সময় মনে হয় এই পুথিবীটা বুঝি সব মিথ্যে দিয়ে ঢাকা । সত্য জিনিষ এখানে নেই বললেই হয়। যদি দুই একটা থাকে তাও চিনে নেওয়া কঠিন ৷” কাত্যায়নী কোন ক্রমে র্তাহার অশ্রু দমন করিয়া ধীরে ধীরে বলিলেন,—“ঘুমে না নরু, রাত যে ঢের হলো। রাত জাগলে আবার অসুখ বাড়বে।” জননীর কথায় পুত্রের মুখের উপর একটু মৃদু হাসির ছায়া পড়িল,—নরেন্দ্রনাথ মৃদ্ধ স্বরে বলিল, “অসুখ বাড়বার মা আর [ bre l