পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኃ%ዖ क्झि काल যারা অত বেলায় স্নান করছিল, তারা তথুনি পাড়ার মধ্যে গিয়ে খবরটা সবাইকে বল্পে। তখন কিন্তু কেউ এল না, অত বেলায় এখন শ্ৰীপতিদের বাড়ী গেলে তাদের খেতে বলতে হয় । অসময়ে এখন এসে তারা রান্নাবান্না চড়িয়ে খাবে, সেটা প্ৰতিবেশী হয়ে হতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য নয়। কিন্তু সে কাঞ্চাট ঘাড়ে করবার চেয়ে এখন না। যাওয়াই বুদ্ধির কাজ। কিন্তু রাসু চক্কত্তি আর প্রিয় মুখুয্যের বাড়ীর মেয়েরা অত সহজে রেহাই পেলেন না। শ্ৰীপতি নিজে গিয়ে একেবারে অন্তঃপুরের মধ্যে ঢুকে বল্লে-ও-পিসমা, ও-বৌদিদি, আপনারা আপনাদের বোঁকে হাত ধরে ঘরে না তুললে কে আর তুলবে ? আসুন সবাই। বাধ্য হয়ে কাছাকাছির দু’তিন বাড়ীর মেয়েরা শাক হাতে, জলের ঘট হাতে নতুন বেঁকে ঘরে তুলতে এলেন-খানিকটা চক্ষুলজ্জায়, খানিকটা কৌতুহলে। মজা দেখবার প্রবৃত্তি সকলের মধ্যেই আছে। ছোটবড় ছেলেমেয়েও এল অনেকে, শাস্তি এল, কমলা এল, সরল এল । শ্ৰীপতিদের বাড়ীর উঠোনে লিচুতলায় একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, দূর থেকে মেয়েটির ধপধপে ফস গায়ের রং ও পরণের দামী সিদ্ধের শাড়ী দেখে সকলে অবাক হয়ে গেল । সামনে এসে আরও বিস্মিত হবার কারণ ওদের ঘটলো মেয়েটির অনিন্দ্যসুন্দর মুখশ্ৰী দেখে। কি ডাগর ডাগর চোখ ! কি সুকুমার লাবণ্য সারা অঙ্গে ! সর্বোপরি মুখশ্ৰী-আমন ধরণের সুন্দর মুখ এসব পাড়াগাঁয়ে কেউ কখনো দেখেনি। সকলে আশা করেছিল গিয়ে দেখবে কালোকোলো একটা মোটামত মাগী আধ-ঘোমটা দিয়ে উঠোনের মাঝখানে দাড়িয়ে প্যাট প্যাট করে। চেয়ে রয়েছে ওদের দিকে। কিন্তু তার পরিবর্তে দেখলে, এক নম্রমুখী সুন্দরী তরুণী মুক্তি -- মুখখানি এত সুকুমার যে মনে হয় ষোল সতেরো বছরের বালিকা ।