পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারানিধি আমিওয়ালার এই কথা শুনিয়া রতিকান্ত যেন আকুল সাগরে কুল পাইল। সে যে কি বলিয়া এই অশিক্ষিত আমিওয়ালার নিকট কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ করিবে, তাহা ভাবিয়া १°iछेदन नां । তাহাকে চুপ করিয়া থাকিতে দেখিয়া ঘোষাল মহাশয় বলিলেন, “তাই কর না, রতি” ! রতিকান্ত বলিল, “ওর কাছেই ত যা’ব, কিন্তু উনি যে এমন করে আমাকে আশ্রয় দিতে চাইলেন, তা’র জন্য আমি যে কি বলব। তাই ভেবে পাচিছে না ।” আমিওয়ালা বলিল, “সে সব কিছু ভাবতে হবে না, বাবা! সরকার মশাই ! আর দরদস্তরে কােজ নেই ; সাড়ে তিন টাকা শ, নিতে হয় নিন, আর না হয় চলে যাই । যে একটা ছোট ছেলেকে দু’দিনের জন্য আশ্রয় দিতে পারে না, তার দুয়োরে আমি আম বেচি না ; তার দুয়োরে আর আসব না। এরা বড়মানুষ, না কাঙ্গাল |’ এই বলিয়া আমওয়ালা আমের বোঝা মাথায় তুলিয়া রতিকান্তকে বলিল, “চল বাবা, বাসায় যাই । আজ আর আম বেচে কােজ নেই।” রতিকান্তকে সঙ্গে লইয়া আমওয়ালা এ গলি, সে “গলি পার হইয়া বাগবাজারে তাহার বাসায় লইয়া গেল ।