পাতা:কুমারসম্ভব কাব্য - দীননাথ সান্যাল.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাইতে আরম্ভ করিয়াছে মাত্র, তখনই যদি অরুণোদয় হয়, তাহ হইলে যেমন সেই-সম চন্দ্র-তারকা-রূপ উজ্জল অলঙ্কার অন্তস্থিত হইয়: গিল্প, চারিদিকে কেবল আরুণিমা-ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে, তেমনই যৌবনারম্ভে পাৰ্ব্বতী যৌবনোচিত অলঙ্কারাদি পরিত্যাগ ও বাদ্ধক্যোচিত বহুল ধারণ করিয়া, প্রদোষে অরুণোদয়ের দশাই পাইয়াছেন। পাৰ্ব্বতীর নিরাভরণ দেহ রক্তাভ বন্ধলে আচ্ছাদিত হইয়া, লুপ্ত-চন্দ্র-তার ও অরুণিমাধ্যাপ্ত উষার সহিত সুন্দর তুলনীয় হইয়াছে। ] ৪৫ —“যদি স্বৰ্গ-প্রার্থনা তোমার মনোগত, তাহা হইলে বৃথা তোমার এই কষ্ট-স্বীকার ;—কারণ, তোমার পিতার এই রাজ্যই, এই হিমালয়ই, ত দেব-ভূমি। আর যদি বিবাহক বরই তোমার প্রার্থনার বিষয় হয়, তাহা হইলেই বা তপস্যায় প্রয়োজন কি ? রত্ন কি কখনও গ্রাহক অন্বেষণ করিয়া বেড়ায় ?—গ্রাহকই ত রত্বের অন্বেষণ করিয়া থাকে। — [ ধীরে ধীরে সুকৌশলে প্রকৃত কথার অবতারণা করা হইল। জটা ধারী পুরুষ যেন প্রকৃত তথ্য কিছুই জানেন ন! ? ] ৪৬ ৷—“তোমার তপ্ত-শ্বাসই তোমার ( বরার্থিত্ব ) ভাব প্রকাশ করিতেছে ; কিন্তু তবু আমার মনে সংশয় হইতেছে — কারণ, যখন তোমার প্রার্থনার যোগ্য ব্যক্তিই দেখিতেছি না, তখন ( যদিও কেহ থাকেন ) সে ব্যক্তি তোম-কর্তৃক প্রাথিত হইয়াও দুর্লভ, ইহা কিরূপে সন্তৰ হয় ?—