পাতা:কুমারসম্ভব কাব্য - দীননাথ সান্যাল.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( >s ) ছিলেন,—আমি পিনাক-পাণিরও ধৈর্য্যচুতি ঘটাইতে পারি— সেই “ধনুর্ধর” এখন, পিনাক-পাণির “ধৈর্য্যভঙ্গ” করা দূরে থাকুক, তাহার মূৰ্ত্তি দেখিয়াই ভয়ে, একেবারে হতজ্ঞান ! "ধনুর্ধরের” হস্ত হইতে ধনুশের পড়িয়া গেল, তাহাও তিনি জানিতে পারেন নাই ! দপী কন্দপের এই বিষম দুৰ্গতি দেখিয়া হাসিও পায়, কান্নাও আসে । ১০ । মদন দহন । এমন সময়ে বসন্তপুষ্পাভরণা রক্তবস্ত্রবসান পাৰ্ববতী, যেন সঞ্চারিণী লতাটর মত, শিবসেবার্থ যাইতেছিলেন । এই সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরীকে দেখিয়া মদন একটু সাহস পাইলেন। তখন তিনি ধনুতে জ্যা আস্ফালন করিতে লাগিলেন। তার পরে, যখন দেখিলেন যে, মহাদেব ধ্যান হইতে বিরত হইয়াছেন এবং সেবা-মাল্য প্রদানার্থ পার্ববর্তী তাহার সুন্নিহিত হইয়াছেন, তখনি এই-ই উপযুক্ত অবসর মনে করিয়া, মদন তাহার পুষ্পধনুতে “সম্মোহন”-বাণ যোজনা করিলেন । তখন, ঐ দেখ, মহাদেব কিঞ্চিৎ ধৈর্য্যচু্যত হইয়। চাহিয়া দেখিলেন যে, বনের প্রান্তভাগে মদন তাহার প্রতি বাণক্ষেপে সমুদ্যত। সেই সময়ে মদনের মূৰ্ত্তি মহাদেব যেমন দেখিয়াছিলেন, কবির তুলিকা-গুণে আজ আমরাও ঠিক যেন তাহাই দেখিতেছি – “স দক্ষিণাপাঙ্গ নিবিষ্ট মুষ্টিং নতাংসমাকুঞ্চিত সব্যপাদম।