পাতা:কুমারসম্ভব কাব্য - দীননাথ সান্যাল.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २७ ) শুনিয়া, সকল-কৰ্ম্ম ছাড়ির প্রাসাদ গবাক্ষে যাইতে র্তাহীদের যেরূপ ব্যস্তত কবি চিত্রিত করিয়াছেন, তাহ অতি স্বনিৰ্ম্মল হাস্য-রসের উদ্দীপক। তাড়াতাড়ি সুন্দরীরা যখন গবাক্ষ-মুখে আসিয়াছেন,তখন কাহারও হাতে আলুলায়িত কেশপাশ-দ্রুতঅসিতে তাহার খোপ খুলিয়া গিয়াছে, মালা পড়িয়া গিয়াছে; কাহারও এক চক্ষু মাত্র অঞ্জন-রাগ-রঞ্জিত, তিনি সেই অঞ্জনশলাকা হাতে করিয়াই গবাক্ষে উপস্থিত ; কাহারও পায়ের দ্রব অলক্তক রাগে গবাক্ষ পৰ্য্যন্ত সারা-পথ অলক্তকাঙ্কিত ; কাহারও হস্তে শিথিল বসন-গ্রস্থি—দ্রুত আসিতে তাহার নীবিবন্ধু খুলিয়া গিয়াছিল, তিনি তাহ বাধিতেও সময় পাম নাই ; কাহারও অঙ্গুষ্ঠে মুক্তশমালার শুধু স্থত-গাছট রহিয়াছে— তিনি মালা গাখিতেছিলেন, তাড়াতাড়ি আসিতে সেই অসমাপ্ত মালার মুক্তাগুলি প্রতি-পদক্ষেপে একট-একটা করিয়া খুলিয়া পড়িয়া গিয়াছে । শিব-সন্দর্শন-পিপাসা সুন্দরীদের যেন মেটে না ! তাহার সৰ্বেন্দ্রিয়কে চক্ষুগত করিয়া, সেই চক্ষু দ্বারা শিব-রূপ যেম “পান” করিতে লাগিলেন । আর, মুখে কেবল—আহ আহ ! মরি মরি! কুসুম-কোমল পাৰ্ব্বতীর “অপর্ণা” হওয়া সার্থক ; এমন পুরুষ-প্রবরের অঙ্ক-লক্ষী হওয়ার ত কথাই নাই, উছার দাসী হওয়াও সৌভাগ্যের কথা ! এখন বুঝা গেল যে, মদনকে ইনি দগ্ধ করেন নাই ; নিশ্চয়ই ইহার অপরূপ রূপ দেখিয় মদম নিজেই দেহত্যাগ করিয়াছে – o :