বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫]
কুরু পাণ্ডব
৭৫

গাণ্ডীব কাহারও অবিদিত নাই; অতএব এই এক বৎসর অজ্ঞাতবাসকালে আয়ুধগুলিকে কোন নিরাপদ স্থানে রক্ষা করিতে হইবে।

 অর্জ্জুন কহিলেন—মহারাজ! ঐ পর্ব্বতশৃঙ্গস্থ শ্মশানের সমীপবর্ত্তী এক দুরারােহ শমীবৃক্ষ দৃষ্ট হইতেছে। উহার শাখায় যদি উত্তমরূপে বস্ত্রাচ্ছাদিত করিয়া আমাদের শস্ত্রসকল রক্ষা করি, তবে তৎকালে কেহ আমাদের দেখিতে পাইবে এমন সম্ভাবনা নাই এবং ভবিষ্যতে যে কেহ ঐ স্থানে গমনাগমন করিবে তাহাও বোধ হয় না। অর্জ্জুনের কথায় সকলে তথায় আয়ুধসংস্থাপন করিতে প্রবৃত্ত হইয়া স্ব স্ব শরাসনের জ্যামোচনপূর্ব্বক তাহার সহিত তূণ খড়্গ এবং অন্যান্য অস্ত্রসমুদায় একত্র সঙ্কলিত করিয়া বস্ত্রের দ্বারা তাহা আচ্ছাদন করিলেন। অনন্তর নকুল সেই সমীবৃক্ষে আরােহণ করিয়া উপযুক্ত দৃঢ় এবং পল্লবাচ্ছাদিত শাখা নির্ব্বাচনপূর্ব্বক তাহাতে পাশদ্বারা সেই বস্ত্রমণ্ডিত অস্ত্রগুচ্ছ বন্ধন করিলেন। পরে স্থানীয় কৃষকাদির মধ্যে ‘ঐ বৃক্ষে মৃতদেহ বাঁধা আছে’ প্রচার করিয়া দেওয়ায় কেহই আর তাহার নিকট গমন করিত না।

 অনন্তর কৃষ্ণার সহিত পঞ্চভ্রাতা নগরে প্রবিষ্ট হইয়া প্রত্যেকে স্বীয় নির্ব্বাচিত ছদ্মবেশের উপযােগী বস্ত্র ও উপকরণ সংগ্রহ করিয়া রাজসভায় কর্ম্ম প্রার্থনায় একে একে উপস্থিত হইতে লাগিলেন।

 সর্ব্ব প্রথমে রাজা যুধিষ্ঠির শারিফলকবেষ্টিত কাঞ্চনময়