পাতা:কৃষিদর্পণ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 ம কৃষিদর্পণ। দুই ধীরে প্রস্তর বসাইয়া কিমারী বন্ধন করিবে এবং তাহার উপরিভাগে প্রস্তর খণ্ড বিস্তীর্ণ করিয়া পরিপুরিত করিয়া দিবে । পৰ্ব্বতের উপর বৃক্ষাদি রোপণ করিতে হইলে প্রথমতঃ উছার সমুদায় গাত্র ঘাসে আচ্ছাদিত করিবে এবং ছায়াজাত চারা সকল "যেমন ফরেন ও লাইকোপেডিয়ম বাইকালর” তাহার উচ্চদিকে রোপণ করিবে এবং পশ্চাদ্ভাগে বা ঢালু দিকে অন্যান্য পুষ্পচার রোপণ করিয়া সুশোভিত করিবে। কেননা সেই দিকে প্রস্তরদি কিছুই থাকিবে না কেবল মৃত্তিকায় অচিছাদিত থাকিবে। আর যে স্থান হইতে ঐ ঢালুর অগ্রস্ত হইয়াছে সেই স্থান বৃক্ষ সমষ্ট্রি স্থাপিত করিয়া মুশোভিত করিবে । এই প্রকারে সুমজীভূত হইলে কৃত্রিম পৰ্ব্বত স্বাভাবিক জ্ঞান হুইবে এবং সমানভূমির সহিত তাহার উত্তম রূপে যোগ হইতে পরিবে। পৰ্ব্বতের রাস্তার দুই পার্শ্বে সুগন্ধি পুষ্প চার সকল রোপণ করিয়া মুশোভিত করিবে এবং তাহার স্থানে স্থানে পাইনশ লনজিফোলিয়া বৃক্ষ রোপণ করিলে অতি চমৎকার শোভা হয়, কেননা এই ৰূপ বৃক্ষ সকল প্রায়শ: পৰ্ব্বতের উপর উৎপন্ন হইয়া শোভা পাইয়া থাকে। অপর পঝতের পার্শ্ববর্তী যে দুই দিক থাকিবে তথায় নানা জাতি লতা পুতিয়া ঝুলাইয়া দিবে। আর যদি কোন কৌশল