পাতা:কৃষিদর্পণ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\94 কৃষিদর্পণ। উৎপাদিকাশক্তি আশ্চৰ্য্যৰূপে প্রকাশ প্লাইবে । কিন্তু যদি গ্রীষ্মকালে কোন প্রকার ফশল প্রস্তুত করিতে হয় তবে ভাদ্র আশ্বিন ও কাৰ্ত্তিক এই মাসত্রয়ের মধ্যে যখন ইচ্ছা হইবে মৃত্তিক প্রস্তুত করিবেক। আর য ধন বর্ষার খন্দ প্রস্তু ত করতে হইবে তখন বৈশাখ মাসে দুই এক বার বৃষ্টি হইলেই ক্ষেত্র, লাঙ্গলদ্বারা কর্ষণ করিয়! প্রস্তু ত করিয়া লইবেক কিন্তু কোন প্রকারে বিলম্ব করিবে না। কারণ পৈশাখাস্তেই প্রায় বর্ষ আসিয়া উপস্থিত হয়। বর্ষার জলে সমুদয় ক্ষেত্র পরিপুর্ণ হইয় যায় অতএব তদবস্থায় মৃত্তিকা খনন করা দুষ্কর হইয়৷ উঠে । আর এদেশে এৰূপ প্রথা আছে যে, ধান্যক্ষেত্রে যখন ধান্যের চারা আনয় রোপণ করে তখন জল পরিপুরিত ক্ষেত্রে লাঙ্গল দিয়া কর্ষণ পুৰ্ব্বক চারা রোপণ করে। কিন্তু এই ব্যবস্থা ধন্যাদি জলজ চারার পক্ষেই প্রচলিত হইতে পারে অন্যান্য চারীর পক্ষে কখন শ্ৰেয়স্কর হয় না। প্রতিবৎসর যে ক্ষেত্রের অীবাদ হইয়া থাকে তথায় কেবল লাঙ্গল ও মৈয়ের দ্বারা ভূমি প্রস্তুত করিলেই হয়। কিন্তু কৰ্ষণ করিবার পুৰ্ব্বে মৃত্তিকার অবস্থা বিশেষ রূপে বিবেচনা করা আবশ্যক , কেননা যদি স্মৃত্তিক কৰ্দমের ম্যায় কোমল থাকে তবে তথীয় লাঙ্গল দেওয়া উচিত নহে, তদবস্থায় মৃত্তিক খনন করিলে লাঙ্গলমুখে চাপড় মৃত্তিক নী