পাতা:কৃষিদর্পণ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুৰিদৰ্পণ___৪১ হইলে যে প্রকারে পরিমাণ করিতে হইবে তদ্বিবরণ নিম্নে প্রকাশ করা যাইতেছে। যথা; ক্ষেত্রের এক দিকে দণ্ডায়মান হইয় নিরীক্ষণ পুৰ্ব্বক ভূমির আকৃতি যে রূপ তাহ নিৰূপণ করিয়া, একখানি কাগজে তাহার মানচিত্র অঙ্কিত করিবে । পরে ঐ ক্ষেত্রের মধ্যস্থলে সুবিধা মত যত দূর অবধি পাওয়া যাইতে পারে, চতুম্পর্থে সুত্রপাত করিয়া ভিতরে সেই অবধি বৃহৎ এক চৌক নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহার ক্ষেত্রফল স্থির করিবে ; পরে পার্শ্ববৰ্ত্তী অবশিষ্ট যে স্থান থাকিবে, ভtহাতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চতুভূজ ক্ষেত্র করিয়া কালি করিলে, ও সেই সমুদায় ক্ষেত্রের ফল একত্র ঠিক দিলে বৃহৎ ক্ষেত্রের কালি হইতে পরিবে । উক্ত প্রকারে ভূমির পরিমাণ স্থির করা হইলে, উহার আকৃতি একখানি কাগজে অ কিয়া, একটা পরিমাণ দণ্ড প্রস্তুত করবে। যদি ভূমি এক শত হস্ত দীর্ঘ হয়, তবে দণ্ডকে এক শত সমান অংশে বিভাগ করিতে হুইবে; তাহার এক এক অংশ এক এক হস্তের সমন হইলে । কাগজে যে ভুমির মানচিত্র অঙ্কিত করা হইয়াছে, তাহার কোন অংশের পরিমাণ করিতে হইলে, ঐ পরিমাণদণ্ডের অংশ লইয়া মাপ করিলেই হইবে। যেমন-সামান্য ভূমির কোন অংশ মাপ করিতে হইলে, এক শত হস্ত রক্স.কিম্বা উহার কতক অংশ