পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । ఫి অবলম্বন করিয়া পরমেশ্বরের এই মহারাজ্য জগৎ সংসার ত্ৰিবিধ বস্তুতে সংস্থাপিত রহিয়াছে, যথা, ধাতু, উদ্ভিজ্জ এবং প্রণি সমূহ, কিন্তু হিন্দুশাস্ত্ৰ মতে ইহার দুই শ্রেণীতে ভক্ত হইয়াছে, যথা স্থাবর এবং জঙ্গম। ধাতু বস্তুর জীবন না থাকতে ঈশ্বর ইহাদিগকে ইন্দ্রিয় বিশিষ্ট করেন নাই, এবং তৎপ্রযুক্ত চলৎশক্তি নাই কেবল তুল্য বস্তুর সংযোগে রাশি ২ একত্ৰ হুইয়া ব্লদ্ধিশীল হইয় থাকে, কিন্তু জন্তু এবং উদ্ভিজ্জদিগের জীবন থাকতে দেহ যাত্রা নিৰ্ব্বণ“হার্থে ইহাদিগের অভ্যন্তরে এক যন্ত্র নির্মাণ করিয়াছেন, এবং বাহ্য বস্তুর রস পরিপাক পাইয়া ইহাদিগের শরীর বৃদ্ধি হইয়া থাকে, তৎপ্রযুক্ত এই দুইএর মধ্যে আর কিছুই বিভিস্নতা দৃষ্ট হয় না, কেবল জন্তুদিগের ন্যায় উদ্ভিজ্জদিগের চলৎশক্তি নাই | দুই এর যন্ত্র সকল, আকারে এমত বিলক্ষণ হইয়াছে যে দৃষ্টিপাত মাত্রে তাহা জ্ঞাত হওয়া যাইতে পারে। প্রকৃতির প্রধান সৃষ্ট-জাব মনুষ্য অবধি পশুবগ পর্যন্ত দশন করিলে তাহাদিগের অভ্যন্তরস্থ যন্ত্রের অনেক বৈলক্ষণ দৃষ্ট হয়, যথা সপজাতির হস্ত পদ ও কর্ণ নাই এবং কাহারও বা চক্ষু নাই, কিন্তু শারীরিক কোন কার্যের ক্রটি দৃষ্ট হয় না ; কারণ ঐ সকল জীবের ইন্দ্রিয়ের কার্য অভ্যস্তরস্থ যন্ত্রের দ্বারা নিৰ্বাহিত হইয়! থাকে । যেমন হৰ্কম্পদ না থাকায় সপদিগের দেহ বক্রভাবে নত হওয়াতে তাহাদিগের গমনাগমনের কার্য নিম্পাদিত হইতেছেঃ সেইরূপ জল মধ্যে এক প্রকার অদৃশ্য" কীট আছে যে আমাদিগের দর্শনেক্সিয়ের অগোচর হওয়াতে প্রতিদিবস