পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कद-भविष्5न ( আরক্ত ও আলোকিত দেখিয়া, আলুলায়িতকুন্তলা বিরাহিণী রাধার মুখে যখন শুনিতাম “আমার যেতে যে হবে গো, রাই বলি বাজিলে বঁাশী-বিমুৱ লাগি পিছল পথে", কিম্বা “আমি শুম-প্ৰেম সুখসাগরেভাসিয়া বেড়াতাম সখী, চাইতাম না পালটি আঁখি-পাপ ননদিনীয় পানে।” তখন মন যে দিব্যলোকে আরোহণ করিত, তাহার নেশা আমি এখনও কাটিয়া উঠিতে পারি নাই। এজন্য যদি আবাল্যসংস্কারের দরুণ আমার এই সমালোচনায় কতকটা পক্ষপাত আসিয়া পড়িয়া থাকেতবে তজন্য ক্ষমা ভিক্ষা করিতেছি। কিন্তু এই সংস্কার শুধু আমারই নহে, শত শত, সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের ছিল এবং এখনও আছে। যে গান দেশের বহুজনতার প্রাণে এরূপ অপূর্ব সাড়া জাগাইয়াছো-আমার যদিই তাহা ভাল লাগিয়া থাকে, তবে তাহা কিছু আশ্চৰ্য্য হয় নাই এবং প্ৰতিপক্ষ সমালোচকও। তাহাতে খুব দোষ দিতে পারিবেন না। কিন্তু শৈশব-সংস্কারের জন্য শ্ৰদ্ধেয় রবীন্দ্র বাবু কোন কোন কবির কবিতার প্ৰতি অসামান্য অনুরাগ প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন, তাহ স্থিরভাবে আলোচনা করিয়া কতজন পাঠক সায় দিবেন জানি না। তাহার প্রিয় এই কবিতাটি তিনি তঁহার এক প্ৰবন্ধে উদ্ধৃত করিয়াছেন “সর্বদাই হুহু করে মন বিশ্ব যেন মরুর মতন চারিদিকে ঝালা ফালা উঃ কি জ্বলন্ত জ্বালা অগ্নিকুণ্ডে পতঙ্গ পতন।” এই কয়েক ছত্র সম্বন্ধে তিনি লিখিয়াছেন, “আধুনিক বঙ্গ সাহিত্যে এই প্ৰথম বোধ হয় কবির নিজের কথা।” এই মন্তব্যের আলোচনা অনাবশ্যক । রবীন্দ্র বাবুর মতে এই লেখার পূর্বে কোন আধুনিক বদীয় কবি আর