পাতা:কোরাণ শরিফ - তৃতীয় ভাগ.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুর আহজাৰ। *6。 সেই (ভাৰ্য্যাদের ) মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা কর তুমি দূরে রাখিবে ও যাহাকে ইচ্ছা কর নিকটে স্থান দিবে, যাহাদিগকে তুমি দূরে রাখিয়াছ (ষদি) তাহদের মধ্যে তুমি কাহাকে অভিলাষ কর তবে তোমার সম্বন্ধে দোষ নাই, ইহাতে .( এই অবকাশ দানে ) তাহাদের যে নয়ন শীতল হইবে, ও তাহারা শোক করিবে না এবং তুমি তাহাদের প্রত্যেককে যাহা দান করিবে তাহাতে তাছারা সন্তুষ্ট থাকিবে ; তাহারই উপক্রম হয়, তোমাদের অন্তরে যাহা আছে ঈশ্বর জানিতেছেন এবং ঈশ্বর গম্ভীর প্রকতি জ্ঞাত । * । নাকে উৎসর্গ করে, সে বিশেষভাবে প্রেরিত পুরুষেরই ভাৰ্য্যা হইতে পারে। অন্য মোসলমানের পক্ষে কাবিন ব্যতীত বিবাহ অসিদ্ধ। হজরতের দশ ভাৰ্য্যা ছিল । তন্মধ্যে খদিজা প্রথম ভাৰ্যা ছিলেন, তাহার পরলোক হইলে পর তিনি ক্রমে অপর নয় জনকে বিবাহ করেন । হজরত মানব লীলা সম্বরণ করিলে সেই নয় জন বিদ্যমান ছিলেন। সেই নয় জন এই, বিবী আয়শা, হফস, সুদ, ওস্মসলমা, ওন্মহবিবা, জয়নব, জবিরা, সফিয়া, ময়মুনা, । (ত, শা, )

  • কোন ব্যক্তির অনেক ভাৰ্য্যা থাকিলে তাহার পক্ষে উচিত যে পালাক্রমে প্রত্যেকের নিকটে তুল্যভাবে থাকে। হজরতের সম্বন্ধে এ জন্য এই বিধি ছিলনা যে স্ত্রীগণ যেন নিজের স্বত্ব হজরতের প্রতি কিছু আছে এরূপ মনে না করে। কিন্তু হজরত প্রত্যেকের পালার মধ্যে কোন প্রভেদ করেন নাই, সকলের সম্বন্ধে তুল্য দৃষ্টি রাখিয়াছিলেন । কেবল বিব সুদা নিজের পালা বিবী আয়শাকে দান করিয়া ছিলেন। হজরতের দুই দাসী পত্নী ছিল, এক জনের নাম মারিয়া এক জনের নাম সাম সমুনা । মারিয়ার গর্ভে হজরতের এব্রাহিমনামক পুত্র জন্ম গ্রহণ করিয়া

ছিলেন, শৈশবকালেই তাহার মৃত্যু হয়। (ভ, শা, ) বিবী সুদা নিজের ভাগ আয়শাকে দান করিয়াছিলেন, সেই সুদাকে ব্যতীত হজরত সকল পত্নীর ভাগের প্রতি শেষ জীবন পৰ্য্যন্ত দৃষ্টি রাপিয়াছেন । সুদা, সফিরা, জবিরা, ওম্ম হবিবা, ময়মুনা এই পাচ পত্নীকে তিনি দূরে রাখিয়া ছিলেন, কিন্তু যখন যে প্রকার ইচ্ছা করিতেন তাহদের ভাগের প্রতি লক্ষ্য রাখিতেন । ... o (t