পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্দির রাক্ষসী । অতি পূর্বকালের এক রাজপুত্রের কথা বলিতেছি, শুন । রাজপুত্রের নাম পরাজিৎ; তাহার মাতার নাম প্রিয়ম্বদা। পরজিৎ, যখন দুধের শিশু, তখন প্ৰিয়ম্বদার বিমাতা কতকগুলি দুষ্ট লোকের সাহায্যে, তঁহাকে এবং তঁাহার, শিশুকে একটা বড় ঝাপীতে পূরিয়া সমুদ্রের জলে ভাসাইয়া দেয়। পাপিষ্ঠ গলা জলে দাড়াইয়া ঝাপীর গায়ে ঢেউ দিতে দিতে বলিল,- “যারে ঝাপী ভেসে যা, মােঝ সাগরে ডুবে যা, সতীনের ঝি শিশু নিয়ে আর যেন কুল পায় না ; মায়ে ছায়ে অতল জলে, মাছের পেটে হজম হ’লে, চৌদ্দ সুখে খাব রব, আপদ বালাই রবে না ; যারে ঝাপী ভেসে যা, ধারে ঝাপী ভেসে যা ।” কঁপী ভাসিয়া চলিল। প্রিয়ম্বদা শিশুকে বুকে তুলিয়া লইয়া কঁাদিতে লাগিলেন। বড় বড় ঢেউ আসিয়া ব্যাপীর গায়ে লাগিতে লাগিল ; ঝাপী থর থর করিয়া কঁাপিতে লাগিলএইবার বুঝি ফাটিয়া ডুবিয়া যায়। শিশু মায়ের মুখের প্রতি চাহিয়া হাসিল; তাহার দুঃখও নাই, ভয়ও নাই। রাজকুমারী সেই হাসি দেখিয়া আপন দুঃখ ও ভয় ভুলিয়া শিশুর মুখে শত শত চুম্বন করিলেন ও তাহাকে স্তন্যপান করাইতে লাগিলেন।