পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ष&शद्भ । ○ রূপে তিন ঢারি বৎসর কাটিয়া গেল, অনধীরার ‘আর কিছুকাল আর ফুরায় না। অবশেষে তিনি কুমারের আগ্রহাতিশয্যে বাধ্য হইয়া, তঁাহাকে যাইতে অনুমতি দিলেন । বিদায়ের সময় কহিলেন,- “বীরপুত্ৰ তুমি মম, রাজার কুমার, বহিবে আপন স্বন্ধে পৃথিবীর ভার। শত বীর-কাৰ্য্যে সদা রহিবে মগন, মাতাকে হয়োনা যেন কভু বিস্মরণ ” ভূবিজয় মাতৃচরণে প্ৰণাম করিয়া কহিলেন,-“মা, তোমাকে কখনো ভুলিব না।” তার পর গৃহ হইতে বাহির হইলেন। যাইতে যাইতে তিনি এক মহাবনের ভিতর প্রবেশ করিলেন । সেই বনে প্ৰধর্ষ নামে এক দুরন্ত দস্তু্য বাস করিত। সে কোন পথিককে দেখিতে পাইলেই, “আমার গৃহে আসুন, আমি আপনার সেবা করিব।” এই বলিয়া তাহাকে ভুলাইয়া আপনার গৃহে লইয়া যাইত ; এবং তথায় তাহাকে এক লোহার খাটে শোয়াইত। যদি তাহার শরীর খাট হইতে খর্ব হইত, তবে হাতুড়ি দ্বারা পিটিয়া উহা খাটের সমান লম্বা করিত, আর যদি উহ! খােট হইতে লম্বা হইত, তবে উহা কাটিয়া খাটের সমান করিত-যে রূপেই হউক,অত্যন্ত কষ্ট দিয়া পথিকের প্রাণবধ করিত। প্ৰধর্ষ এত বলবান ছিল যে, কেহই যুদ্ধ করিয়া তাহাকে পরাভব করিতে পারিত না, তাহার ভয়ে সে বন-পথে লোক প্রায় চলিত না। প্ৰধর্ষ ভূবিজয়কেও পথ হইতে ডাকিয় ?