পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

avy as যেরূপ বর্ণনা করিতেন, তঁহার পিতা তেমন মহামহিমাময়, তেজোপূৰ্ণ পুরুষ নহেন-এক জীৰ্ণ শরীর, দুর্বলচিত্ত বৃদ্ধ। পাপিষ্ঠা সুচিত্ৰ ভঁাহাকে শোষণ করিতেছিল। কিন্তু তথাপি তাহার মুখাবয়বে ও চক্ষুতে র্তাহার পূর্বের সৌন্দৰ্য্য ও তেজের চিহ্ন কিছু কিছু বিদ্যমান ছিল। ভূবিজয় পিতার প্রতি সসঙ্কোচে দৃষ্টি করিয়া এইরূপ আন্দোলন করিতেছেন এবং পিতা কেন কথা বলেন না, বুঝিবা অসন্তুষ্ট হইয়াছেন, এই ভাবিয়া সঙ্কুচিত হইতেছেন, এমন সময় রাক্ষসী সুচিত্রা অত্যন্ত মধুরস্বরে কহিল,-“তুমি পরিশ্রম করিয়া আসিয়াছ, কিছু গ্লাও, সুস্থির হও, পরে বাক্যালাপ চাইবে ।” তৎক্ষণাৎ একজন দাসী একখানি সোনার থালে কিছু মিষ্টান্ন ও একটি পাত্রে কিছু শীতল জল আনিয়া দিল, এবং একখানি আসন পাতিয়া দিয়া চলিয়া গেল। ইতিমধ্যে পৃথ্বীশ্বর একাগ্ৰচিত্তে ভূবিজয়কে দেখিতেছিলেন, তঁহার মুখখানি তঁহার পূর্ব পরিচিত বলিয়া বোধ হইতেছিল, অনির্ণীত কারণে র্তাহার হৃদয় স্নেহরসে পূর্ণ হইতেছিল ; তিনি অতি আগ্রহের সহিত পূৰ্ণ কথা স্মরণ করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন ; কিন্তু কিছুই তাহার সুস্পষ্ট মনে হইতেছিল না। এমন সময় ভূবিজয় আহারে বসিবার নিমিত্ত পাদুকা ও কটিবন্ধ হইতে তরবার খুলিলেন; তখন তরবারের স্বর্ণনিৰ্ম্মিত ও হীরকখচিত বাট এবং পূর্ব পরিচিত পাদুকা রাজার দৃষ্টিপথে পতিত হইল-দৃষ্টি মাত্রে সমস্ত পূর্ব কথা বিদ্যুৎগতিতে তাহার মনে পড়িল । তিনি এক লম্ফে আসন পরিত্যাগ করিয়া