পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቅ..8b” কৌতুক-কাহিনী। সুখের খাতিরেও বসিয়া থাকে না, দুঃখের খাতিরেও নয়। সে রাত্রিও যথা সময়ে প্রভাত হইল। পূর্বকাশে একটু আলো দেখা দিবামাত্রই রত্নপাল গৃহস্থিত এটা, ওটা, সেটা ছুইতে লাগিলেন । কিন্তু কোনটাই তো সোণা হইল না ! যা ! তবে কি দেবতা ছলনা করিলেন ? রত্নপালের বুক যেন নিরাশা ও দুঃখে ভাঙ্গিয়া চুৰ্ণ হইল। তিনি একখানি কাষ্ঠাসনের উপর মূৰ্চিচ্ছত হইয়া পড়িলেন। যখন মূৰ্ছা ভাঙ্গিল তখন সূৰ্য্য উঠিয়াছে। রত্নপাল বিহবিলের মত চাহিয়া দেখেন, তিনি একখানি সোণার আসনে পড়িয়া আছেন । তখন সহসা সব কথা মনে পড়িল ; তঁাহার পরশে কাঠের আসন সোণার আসন হইয়াছে, বুঝিলেন। ইহাও বুঝিলেন যে, সূৰ্য্যোদয়ের পূর্বে বর ফলে নাই—সূৰ্য্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ফলিয়াছে । রত্নপালের মনে যে আনন্দ হইল তাহা বৰ্ণনা করে কার সাধ্য ? তিনি উৰ্দ্ধশ্বাসে এটা, ওটা, সেটাগৃহের মধ্যে যত দ্রব্য ছিল সব গুলি হাতে, পায়ে, নাকে, মুখে স্পর্শ করিতে লাগিলেন, সবগুলি তৎক্ষণাৎ স্বৰ্ণ হইয়া গেল ! তিনি যে কাপড় পরিয়াছিলেন তাহাও সোণার সূতার কাপড় হইয়াছিল-এতক্ষণ নজর করেন নাই, এখন দেখিলেন । জানালার কাছে দাড়াইয়া বাগানে রাশি রাশি ফুল ফুটিয়া প্ৰভায় চতুর্দিক আলোকিত করিয়াছে, দেখিলেন ; দেখিয়া মনে করি।-- লেন ঐ ফুলগুলিকে সোণার ফুল করিব। তৎক্ষণাৎ বাগানের দিকে ছুটিয়া গেলেন। যাইতে যেখানে যেখানে পা ফেলেন,