পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

estas .ܶܘ একমাত্র রাজকুমার ভূবিজয়। তিনি তঁহার সেই পাদুকা পরিয়া ও কটিতে সেই তরবার বান্ধিয়া অটল ভাবে দাড়াইয়া আছেন। সকল কাৰ্য্যেরই শেষ আছে ; ক্ৰন্দন ও বিদায়গ্ৰহণেরও শেষ হইল। দূতগণ যুবকযুবতীগণকে লইয়া নগর হইতে যাত্রা করিলা । কহিলন নগরে পৌঁছিয়া দূতেরা যুবকযুবতীগণকে রাজসভায় রাজার নিকট উপস্থিত করিল। রাজা প্ৰচণ্ডের অত্যন্ত কর্কশ মূৰ্ত্তি ; শরীর প্রকাণ্ড, বৰ্ণ কাল ও চক্ষু রক্তবর্ণ-দেখিয়া ভয় হয়। অমাত্যগণ চতুর্দিকে বসিয়া যে যাহার কাৰ্য্য, করিতেছে, আর তঁহার পরম সুন্দরী যুবতী কন্যা অরুণা সিংহাসনের একটু অন্তরে বসিয়া আছেন। প্রধান দূত কহিল,-“মহারাজ, ত্রিপুর নগর হইতে এই সাতটা যুবক ও সাতটী যুবতী লইয়া আসিয়াছি।” প্ৰচণ্ড এক বার মাত্র হতভাগ্য ও হতভাগিনীগণের প্রতি দৃষ্টিপাত করিবার জন্য সেই দিকে মুখ ফিরাইলেন, অমনি রাজকুমার ভূবিজয়ের উপর তাহার দৃষ্টি পতিত হইল ; আর চক্ষু ফিরাইতে পারলেন না ! তাহার উন্নত মূৰ্ত্তি, তপ্তকাঞ্চন বৰ্ণ, উজ্জ্বল চক্ষুদ্বয়, পরম সুন্দর মুখাবয়ব এবং বিশাল বক্ষ দেখিয়া डि:ि সহজেই বুঝিলেন, যুবক উচ্চ বংশে জন্মিয়াছে। দূতের প্রতি দৃষ্টি করায় দূত প্ৰচণ্ডের মনের ভাব বুঝিতে পারিয়া করযোড়ে কহিল,-“মহারাজ, এই যুবক ত্রিপুররাজ পৃথুশ্বরের পুত্ৰ, যুবরাজ ভূবিজয়। ইনি রাজা ও রাজ্যের সকলের নিষেধ সত্ত্বেও স্বেচ্ছায় এখানে আসিয়াছেন।” এই কথা বলিবামাত্র অমাত্য