পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cર কৌতুক-কাহিনী। রাজপুত্ৰগণের মধ্যে অনেকেই ভগ্নোৎসাহ হইয়াছিলেন। যে দুই চারি জন ইহার পরেও যুদ্ধে গিয়াছিলেন। তঁহারা প্ৰাণ হারাইয়াছিলেন । বীরোন্দ্রের বিষয়ে সঠিক খবর কেহ বলিতে পারিত না। কেহ বলিত, তিনি নিহত হইয়াছেন ; কেহ বলিত, তঁহার বঁচিয়া থাকাই সম্ভব । বীরোন্দ্রের এক জন সৈনিক এই কথা বলিয়াছিল ; সে বলিয়াছিল—“আমি দেখিয়াছি, যুবরাজ ত্ৰিশিরের সহিত ভীমবিক্রমে যুদ্ধ করিতে করিতে পা পিছলিয়া নিম্নস্থিত নিবরে পড়িয়া গেলেন । আমি পরে নীচে নামিয়া নিঝর জলে বহু দূৱ পৰ্যন্ত অনুসন্ধান করিয়াও তাঁহাকে পাই নাই। নিকটবৰ্ত্তী এক পল্লীতে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম একটী লোককে আর কয়েকজন লোকে ধরাধরি করিয়া লইয়া গিয়াছে। ইহা সেই পল্লীবাসীদের মধ্যে কেহ কেহ দেখিয়াছে ; কিন্তু তাহারা কে এবং কাহাকে লইয়া কোথায় গিয়াছে তাহা তাহারা বলিতে পারে না। আমি আর কিছুই জানিতে পারি নাই।” সুদক্ষিণ। আশায় বুক বান্ধিয়াছিলেন এবং তঁাহার প্রাণেও এই লাইত যে বীরেন্দ্ৰনারায়ণ জীবিত আছেন ও শীঘ্রই দেখা দিবেন। আবার পরীক্ষণেই বিষাদ উপস্থিত হইত— “ত্রিশিরে না বধ করি আসিলে কুমার, বিবাহের পাণরক্ষা হলো না তো আর ; হায়, অভাগিনী আমি কেন বা এমন সভা মধ্যে করিলাম। অসম্ভব পণ ?” মাসের পর মাস, ক্ৰমে বৎসরের পর বৎসর অতীত হইতে