পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ8 কৌতুক কাহিনী । য়াই আবার দ্বিগুণ বলে। লাফাইয়া উঠিল; এবং লাঠি তুলিয়া বজাবাহুকে পুনরায় যথাশক্তি আঘাত করিল। কিন্তু লাঠি গাছটি বজাবাহুর গদায় পড়িয়া খণ্ড খণ্ড হইয়া গেল। তাহার কয়েক খণ্ড দূরস্থিত বামনগণের মধ্যে ছুটিয়া পড়িয়া অনেক শত লোকের প্রাণনাশ করিল। তখন তাহারা আরো দূরে সরিয়া দাড়াইল । নরাচল গর্জন করিতে করিতে কহিল,-“আয় মল্লযুদ্ধ করি।”ৰজবাহু ঈষদ্ধাস্য করিয়া কহিলেন,- “যে যুদ্ধ তোমার ইচ্ছা যে প্রকার হয়, কিছু কিছু জানা আছে সবই, মহাশয় ।” নরাচলের ভাবগতিক দেখিয়া বজাবাহু চিনিয়াছিলেন, “এ নরাচল দৈত্য। তিনি তাহার কথা এবং তাহার অদ্ভুত বরের কথাও পূর্বেই শুনিয়াছিলেন। হঠাৎ সে কথা স্মরণ হওয়াতে তিনি তাহাকে বিনাশ করার উপায় মনে মনে স্থির করিলেন । নরাচল যেই বস্যামহিষের মত মাথা নীচু করিয়া ও দুই হাত প্ৰসারিত করিয়া হু হু শব্দে তাহার প্রতি ছুটিয়া আসিল, অমনি বজ্ৰবাহু তাহাকে আপনার উরুর উপরে তুলিয়া লইলেন, আর দুইহাতে তাহার গলা চাপিয়া ধরিয়া তাহাকে ভন ভন করিয়া শূন্যে ঘুৱাইতে লাগিলেন। নরাচলের মুখ ও নাক দিয়া তীরবেগে রক্ত ছুটিল। সে শূন্যে উঠিয়া আর স্মৃত্তিকাও স্পর্শ করিতে পারিল না ; অতএব মুহূৰ্ত্তে মুহূৰ্ত্তে তাহার শক্তি ও প্ৰাণবায়ু বহির্গত হইতে লাগিল। অল্পক্ষিণ মধ্যে সে শূন্যে থাকিতে থাকিতেই প্ৰাণ পরিত্যাগ করিল। বিজুবাহু তখন