পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৩৩)

ভাবিলাম আমি চন্দ্র, ধরণী এণ্টনি।
ভাবিতেছিলাম পুনঃ, এই চন্দ্রালোকে,
নব প্রণয়িনী-পাশে, নব অনুরাগে,
বসিয়া সুদূর রোমে প্রাণেশ আমার,
ভুলেছে কি ক্লিওপেট্রা? ভাবিছে কি মনে
‘কোথায় নীলজ চারু ফণিনী আমার’—
সুদীর্ঘ নিশ্বাস সহ? কিম্বা অগস্তার
নবীন প্রণয়-রাজ্যে এবে এণ্টনির
হয়েছে কি অধিকৃত সমস্ত হৃদয়?
করেছে কি ক্লিওপেট্রা চির-নির্ব্বাসিত?
নবীনা সপত্নী নামে; ওলো চার্‌মিয়ন্!
জ্বলিয়া উঠিল তীব্র ঈর্ষার অনল
রমণী-হৃদয়ে; যেন বিশুষ্ক কাননে
অকস্মাৎ প্রবেশিল ভীম দাবানল।
রমণীর অভিমানে রমণা-হৃদয়
ভরিল। আরক্ত নেত্রে ছুটিল অনল।
যেই মানসিক বৃত্তি, প্রণয়ের তরে
ধরার কলঙ্ক রাশি ঠেলেছিল পায়ে,
আজি অপমানে পুনঃ সেই বৃত্তি-চয়
হ’লো খড়্গ-হস্ত সেই প্রণয়-ঘাতকে।