পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{} ठडिथि ○○。 হইয়াছিল এবং পথায়ী হইয়া বসিয়া সংসারের সংখস্বচ্ছন্দতা ভোগ করিবার দিকে তাহার মন পড়িয়াছিল; বোধ করি, তাহার সহপাঠিকা বালিকার নিয়তদৌরাত্মাচঞ্চল সৌন্দৰ্য অলক্ষিতভাবে তাহার হৃদয়ের উপর বন্ধন বিস্তার করিতেছিল। এ দিকে চারর বয়স এগারো উত্তীণ হইয়া যায়। মতিবাব সন্ধান করিয়া তাঁহার মেয়ের বিবাহের জন্য দুই-তিনটি ভালো ভালো সম্বন্ধ আনাইলেন। কন্যার বিবাহবয়স উপস্থিত হইয়াছে জানিয়া মতিবাব তাহার ইংরাজি পড়া এবং বাহিরে যাওয়া নিষেধ করিয়া দিলেন । এই আকস্মিক অবরোধে চার ঘরের মধ্যে ভারি একটা আন্দোলন উপসিথত করিল। তখন একদিন অন্নপণা মতিবাবকে ডাকিয়া কহিলেন, “পাত্রের জন্যে তুমি অত খোঁজ করে বেড়াচ্ছ কেন । তারাপদ ছেলেটি তো বেশ । আর তোমার মেয়েরও ওকে পছন্দ হয়েছে।” শনিয়া মতিবাব অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করিলেন। কহিলেন, “সেও কি কখনও হয়। তারাপদর কুলশীল কিছুই জানা নেই। আমার একটিমাত্র মেয়ে, আমি ভালো ঘরে দিতে চাই ।” একদিন রায়ডাঙার বাবদের বাড়ি হইতে মেয়ে দেখিতে আসিল । চারকে বেশভূষা পরাইয়া বাহির করিবার চেষ্টা করা হইল। সে শোবার ঘরের বার রন্ধ করিয়া বসিয়া পহিল— কিছুতেই বাহির হইল না। মতিবাব ঘরের বাহির হইতে অনেক অননয় করিলেন, ভং‘সনা করিলেন, কিছুতেই কিছু ফল হইল না। অবশেষে বহিরে আসিয়া দায়ডাঙার মতবগের নিকট মিথ্যা করিয়া বলিতে হইল, কন্যার হঠাৎ অত্যন্ত অসুখ করিয়াছে, আজ অব দেখানো হইবে না। তাহারা ভাবিল, মেয়ের বঝি কোনো-একটা দোষ আছে, তাই এইরুপ চাতুরী অবলম্বন করা হইল। তখন মতিবাক ভাবিতে লাগিলেন, তারাপদ ছেলেটি দেখিতে শুনিতে সকল হিসাবেই ভালো ; উহাকে আমি ঘরেই রাখিতে পারিব, তাহা হইলে আমার একমাত্র ময়েটিকে পরের বাড়ি পাঠাইতে হইবে না । ইহাও চিন্তা করিয়া দেখিলেন, তাহার BBBB BBB BBBB BBBBB BBBB BBBB BB BB BBBBB BB উক শ্বশুরবাড়িতে কেহ সহ্য করিবে না। তখন ত্রী-পুরুষে অনেক আলোচনা করিয়া তারাপদর দেশে তাহার সমস্ত কৌলিক সংবাদ সন্ধান করিবার জন্য লোক পঠাইলেন। খবর আসিল যে, বংশ ভালো কিন্তু পরিদ্র । তখন মতিবাব ফেলের মা এবং ভাইয়ের নিকট বিবাহের প্রস্তাব পাঠাইলেন। হারা আনন্দে উচ্ছসিত হইয়া সম্মতি দিতে মাহত মাত্র বিলব করিলেন না। কাঠালিয়ায় মতিবাব, এবং অন্নপণ বিবাহের দিনক্ষণ আলোচনা করিতে লাগিলেন, কিন্তু স্বাভাবিক গোপনতাপ্রিয় সাবধানী মতিবাব কথাটা গোপনে *াখিলেন । চারকে ধরিয়া রাখা গেল না। সে মাঝে মাঝে বগির হাঙ্গামার মতো তারাপদর পাঠগহে গিয়া পড়িত। কখনও রাগ, কখনও অনুরাগ, কখনও বিরাগের বারা তাহার পাঠচযার নিভৃত শান্তি অকস্মাৎ তরঙ্গিত করিয়া তুলিত। তাহাতে আজকাল এই নলি"ত মন্তেস্বভাব ব্রাহরণবালকের চিত্তে মাঝে মাঝে ক্ষণকালের জন্য বিদংেপন্দনের ন্যায় এক অপবে চাঞ্চল্য-সঞ্চার হইত। যে ব্যক্তির লম্বভার চিত্ত চিরকাল অক্ষম