পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a> ミ গল্পগুচ্ছ দীন আদলে বা আয়াল কতে পার নাই ক্ষমা । রাত হইয়া গেছে, আর আপনাদের কষ্ট বাড়াইতে ইচ্ছা করি না। এখন তবে— ” মামা বলিলেন, “তা, সভায় চলন, আমরা তো প্রস্তুত আছি।" শম্ভুনাথ বলিলেন, “তবে আপনাদের গাড়ি বলিয়া দিই?” মামা আশচষ হইয়া বলিলেন, “ঠাট্টা করিতেছেন নাকি ৷” শম্ভুনাথ কহিলেন, “ঠাট্রা তো আপনিই করিয়া সারিয়াছেন। ঠাট্টার সম্পকটাকে সস্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই।” মামা দই চোখ এত বড়ো করিয়া মেলিয়া অবাক হইয়া রহিলেন। শম্ভুনাথ কহিলেন, “আমার কন্যার গহনা আমি চুরি করিব এ কথা যারা মনে করে তাদের হাতে আমি কন্যা দিতে পারি না।” আমাকে একটি কথা বলাও তিনি আবশ্যক বোধ করিলেন না। কারণ, প্রমাণ হইয়া গেছে, আমি কেহই নই। তার পরে যা হইল সে আমি বলিতে ইচ্ছা করি না। ঝাড়লন্ঠন ভাঙিয়া-চুরিয়া, জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করিয়া, বরযাত্রের দল দক্ষযজ্ঞের পালা সারিয়া বাহির হইয়া গেল । বাড়ি ফিরিবার সময় ব্যাণ্ড রসনচৌকি ও কন্সট একসঙ্গে বাজিল না এবং অভ্রের ঝাড়গুলো আকাশের তারার উপর আপনাদের কতব্যের বরাত দিয়া কোথায় যে মহানিবাণ লাভ করিল সন্ধান পাওয়া গেল না । বাড়ির সকলে তো রাগিয়া আগন। কন্যার পিতার এত গমের! কলি যে চারপোরা হইয়া আসিল! সকলে বলিল, দেখি, মেয়ের বিয়ে দেন কেমন করিয়া। কিন্তু মেয়ের বিয়ে হইবে না এ ভয় যার মনে নাই তার শাস্তির উপায় কণী । সমস্ত বাংলাদেশের মধ্যে আমিই একমাত্র পরিষে যাহাকে কন্যার বাপ বিবাহের আসর হইতে নিজে ফিরাইয়া দিয়াছে। এত বড়ো সৎপাত্রের কপালে এত বড়ো কলকের দাগ কোন নষ্টগ্রহ এত আলো জনালাইয়া, বাজনা বাজাইয়া, সমারোহ করিয়া অকিয়া দিল ? বরযাত্ররা এই বলিয়া কপাল চাপড়াইতে লাগিল যে, বিবাহ হইল না অথচ আমাদের ফাঁক দিয়া খাওয়াইয়া দিল— পাকযন্ত্রটাকে সমস্ত অন্নসদ্ধে সেখানে টান মারিয়া ফেলিয়া দিয়া আসিতে পারিলে তবে আফসোস মিটিত । বিবাহের চুক্তিভঙ্গ ও মানহানির দাবিতে নালিশ করিব বলিয়া মামা অত্যন্ত গোল করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। হিতৈষীরা বাকাইয়া দিল, তাহা হইলে তামাশার যেটকু বাকি আছে তাহা পরা হইবে। वजा वाइट्जा, आधिe थद ब्राणिग्राहक्षान्न । त्काटना ब्राउटक श्रष्ठूनाथ विषय छअ। হইয়া আমাদের পায়ে ধরিয়া আসিয়া পড়েন, গোঁফের রেখায় তা দিতে দিতে এইটেই কেবল কামনা করিতে লাগিলাম। কিন্তু, এই আক্লোশের কালো রঙের গ্রোতের পাশাপাশি আর-একটা স্রোত বহিতেছিল যেটার রঙ একেবারেই কালো নয়। সমস্ত মন যে সেই অপরিচিতায় পানে