পাতা:গীতবিতান.djvu/১১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় eఫి$ ইহাই শেষবার। এই সম্মিলনী উপলক্ষেই বাল্মীকিপ্রতিভা ৰচিত হয়। জামি বাল্মীকি সাজিয়াছিলাম এবং আমার ভ্রাতুষ্পুত্রী প্রতিভা সরস্বতী সাজিয়াছিল —বাল্মীকিপ্রতিভা নামের মধ্যে সেই ইতিহাসটুকু রহিয়া গিয়াছে। - -জীবনস্মৃতি । বাল্মীকিপ্রতিভা উল্লিখিত সংগীতস্থষ্টিতে সকলে কিরূপ মাতিয়া উঠেন, এবং জ্যোতিরিন্দ্রনাথের নেতৃত্ব ছিল কতখানি, সে বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন— । বাল্মীকিপ্রতিভা ও কালমৃগয়া যে উৎসাহে লিখিয়াছিলাম সে উৎসাহে জার-কিছু রচনা করি নাই। ওই দুটি গ্রন্থে আমাদের সেই সময়কার একটা সংগীতের উত্তেজনা প্রকাশ পাইয়াছে। জ্যোতিদাদা তখন প্রত্যহই,প্রায় সমস্ত দিন ওস্তাদি গানগুলাকে পিয়ানো যন্ত্রের মধ্যে ফেলিয়া তাহাদিগকে যথেচ্ছা মন্থন করিতে প্রবৃত্ত ছিলেন। তাহাতে ক্ষণে ক্ষণে রাগিণীগুলির এক-একটি অপূর্ব মূর্তি ও ভাবব্যঞ্জনা প্রকাশ পাইত। যে-সকল স্বর বাধা নিয়মের মধ্যে মন্দগতিতে দস্তুর রাখিয়া চলে তাহাদিগকে প্রথাবিরুদ্ধ বিপর্যন্ত ভাবে দৌড় করাইবা মাত্র সেই বিপ্লবে তাহাদের প্রকৃতিতে নূতন নূতন অভাবনীয় শক্তি দেখা দিত এবং তাহাতে আমাদের চিত্তকে সর্বদা বিচলিত করিয়া তুলিত। স্বরগুলা যেন নানা প্রকার কথা কহিতেছে এইরূপ আমরা স্পষ্ট শুনিতে পাইতাম। আমি ও অক্ষয়বাৰু অনেক সময়ে জ্যোতিদাদার সেই বাজনার সঙ্গে সঙ্গে স্বরে কথাযোজনার চেষ্টা করিতাম।••• এইরূপ একটা দস্তরভাঙা গীতবিপ্লবের প্রলয়ানন্দে এই দুটি নাট্য লেখা। এইজন্ত উহাদের মধ্যে তালবেতালের নৃত্য আছে এবং ইংরেজি-বাংলার বাছ-বিচার নাই। আমার অনেক মত ও রচনারীতিতে আমি বাংলাদেশের পাঠকসমাজকে বারম্বার উত্ত্যক্ত করিয়া তুলিয়াছি— কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, সংগীত সম্বন্ধে উক্ত দুই গীতিনাট্যে যে দুঃসাহসিকতা প্রকাশ পাইয়াছে তাহাতে কেহই কোনো ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাই এবং সকলেই খুশি হইয়া ঘরে ফিরিয়াছেন। —জীবনস্মৃতি। বাল্মীকিপ্রতিভা ‘বাল্মীকিপ্রতিভা ও কালমৃগয়া’র সহিত 'মায়ার খেলা’র পার্থক্যের ৰিষয়ে কৰি বলিয়াছেন— মায়ার খেল। ... গীতনাট্য... ভিন্ন জাতের জিনিস। তাহাতে নাট্য মূখ্য