পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতাবলী শ্ৰীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের প্রত্যেকটি গীতি-সাহিত্য-গ্রন্থের এক একটী বৈশিষ্ট্য ও মৌলিকত্ব আছে। ‘শরণাগতি’তে প্ৰধান ভাবে আত্মনিবেদন-শিক্ষা, “কল্যাণকল্পতরু'তে প্ৰধানভাবে অন্বয় ও ব্যতিরেকমুখে নিঃশ্রেয়সের উপদেশ, গীতিমালা’য় প্রধানভাবে শান্ত-দাস্য-ভক্তি ও রূপানুগ উজ্জল-ভক্তি-শিক্ষা, আর ‘গীতাবলী’তে অৰ্দ্দন ও ভজনপির উভয়বিধ সাধকের দৈনন্দিন জীবনে পালনীয় ও অনুশীলনীয় যাবতীয় রূত্যের উপদেশ প্ৰকাশিত হইয়াছে। গীতাবলীর অরুণোদয়-কীৰ্ত্তনে অতি প্ৰত্যুষ হইতেই হরিকীৰ্ত্তনে ও হরিস্মরণে জীবন-যাপনের প্রেরণা পাওয়া যায়। নিদ্রাভঙ্গের সঙ্গে-সঙ্গেই ঠাকুর ভক্তিবিনোদের অরুণোদয়-কীৰ্ত্তন আমাদের কৰ্ণে এই উপদেশামৃত ঢালিয়া দিতেছেন “মুকুন্দ, মাধব, যাদব, হরি, বলরে বলরে। বদন ভরি’, * মিছে নিদ-বশে গেলারে রাতি, দিবস শরীর সাজে ।” রাত্রে নিদ্রাভিভূত ও জন্ম-জন্মান্তর মোহনিদ্রাগ্রস্ত জীবকে ঠাকুর ভক্তিবিনোদ জাগ্ৰত করিয়া দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যুষেই মুকুন্দ-মাধব-নাম-কীৰ্ত্তনের উপদেশ-প্ৰদান-পূর্বক তৎসঙ্গে শরীরসজ্জা অৰ্থাৎ দেহা দ্যহং বুদ্ধিরূপ নামাপরাধ পরিত্যাগের উপদেশ প্ৰদান এবং এই মনুষ্যদেহের দুল্লািভত্ত্বি ও মনুষ্য-জীবনের চরম কৰ্ত্তব্য শিক্ষণ দিয়াছেন Digitized at BRCIndia.com