পাতা:গীতাসার - বলাইচাঁদ মল্লিক.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 08 ) হইলে শ্ৰীকৃষ্ণ অবশিষ্ট থাকিয়া বুঝিলেন যে পৃথিবীর ভার নাশ কইয়াছে। বলরাম তীরে উপবেশন করিয়া পরম পুরুষের চিন্তারূপ যোগ অবলম্বন করিয়া আত্মীয় আত্মা যোজনা করিয়৷ মানবলীল। ংবরণ করিলেন। বলদেবের মহাপ্রস্থান দর্শন করিয়া ভগবান দেবকীনন্দন “অশ্বখতলে" গমন করিয়া দীপ্তিশালী শ্ৰীবৎস চিহুিত, সজল জলদ শ্রাম-তপ্ত কাঞ্চন কাস্তি, পীত কৌষেয়ধারী—কিীট কৌস্তু ভশোভা—বনমালী বিভূষিত—চতুভূজধারী রূপ ধারণ করিয়া উপবেশন করিলেন। জৱা নামক ব্যাধ ভগবানের চরণে বাণ নিক্ষেপ করিল। তাহাকে চতুভূজ দর্শন করিয়া ভয়ে কম্পান্বিত হইয়া কহিল “হে নারায়ণ ! যাহার স্মরণেই অজ্ঞানান্ধকার নাশ হয় আমি সেই নারায়ণের অহিত্যচরণ করিয়াছি”। ভগবান কহিলেন, “হে জরে ! তোমার কোন ভয় নাই, উঠ আমার অভৗসিতই সম্পাদন করিয়াছ।... তখন ভগবান গোবিন্দ ব্ৰহ্মাকে ও নিজ বিভূতি দেবগণকে দর্শন পূৰ্ব্বক আপনাতে আপনাকে যোজনা করিলেন, নয়নযুগল নিমীলিত করিলেন, লোক সকল যথায় অবস্থান করে এবং যাহা ধ্যানের ও সাধনের বিষয় সেই নিজ শরীরকে অগ্নিময়ী যোগ ধারণ দ্বারা দগ্ধ না করিয়াই নিজ ধামে প্রবেশ করিলেন...মেঘমণ্ডল পরিত্যাগ করিয়া গমনশী বিদ্যুতের গতি যেমন কেহ দেখিতে পায় না, তেমনি ভগবানে নিজ ধামে প্রবেশ কেহ দেখিতে পাইল না।” "ইহার অর্থ ব্যাখ্যা করিলে আমরা দেখিতে পাই, তিনি অশ্ব বৃক্ষে উপবেশন করিয়াছিলেন, এই অশ্বখ বৃক্ষের উল্লেখ কৱি ভাগবত রচয়িত এক চিরন্তন সত্যের দ্বার উদঘাটন করিয়াছেন f বেদে অনন্ত জ্যোতিকে বন এবং বৃক্ষরূপে বর্ণিত হইয়াছে “কিষ্মিন্ধমং কউ স বৃক্ষ আস,