পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ମୁ ଅଳ୍ପି 96ܢܠ বেতের বেড়া না ভাঙ্গে, তাহাই দেখিতে হইবে, ততক্ষণ যাহারা সোনার থামের কল্পনা করিয়া দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন- তাহারা মোটেই সুখী হইতে পরিবেন না । ভাগ্যদেবী র্যাহাকে ঘরে আনিয়াছেন, তিনি আমার সুখের তৃষ্ণ মিটাহবার জন্য ঘরে আসিলেন-ইতি মনে যেন না হয় । স্ত্রী পুরুষ যদি উভয়ে সংযত হন, এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার ভাবে উদ্রেক করিতে পারেন, তবে তঁহাদের প্রেম যেরূপ দৃঢ় ভিত্তির উপর দাড়াইবে, র্যাঙ্গারা শুধু আকাশ-কুসুমের শোভা দেখিতে চাহিবেন, তাহাদের প্ৰেম সেখানে দাড়াইবে না । স্বামীব ব্যবহারের অসংযমের পথে স্ত্রীকে পদে পদে বাধা দিতে হইবে । যাহারা তাহা না করিয়া স্বামীকে নিজেরাই সর্ববিষয়ে অন্য পথের দিকে লইয়া যাইয়া ভঁাচার প্ৰেয়সী হইতে চেষ্টা করিবেন, শেষকালে তাহাদেব উপর স্বামীর কোন শ্রদ্ধাই থাকিবে না, এবং যে সকল বিষয়ে স্ত্রীর স্বামীকে বাধা দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তিনি তাহা দেন নাই, অনেক সময় দেখিবেন, সেই সকল বিষয়ই গাৰ্হস্থ্য সুখের পরম বিস্তু হইয়া দাড়াইয়াছে। স্বামী যদি ছোট ভাইটিকে তাড়াইয়া দিতে ইচ্ছা করেন ও দুর্ব্যবহার দ্বারা সৰ্ব্বদা পিতামাতারই মনে ব্যথা দেন, তবে স্বী স্বামীর সাময়িক ক্ৰোধ সহা করিযাও বাধা দিবেন, তাতার ফলে স্বামী স্বাকে শ্রদ্ধা করিতে শিখিবেন । স্ত্রী স্বীয় প্রেম দ্বারা স্বামীর বাক্য ও ব্যবহারের অসংযমে বাধা দিবেন, তবেই সংসারে তঁাহার সম্মান অটুট থাকিবে । স্বামীই স্ত্রীর সর্বপ্ৰধান অবলম্বন । স্বামার কথা স্ত্রী বেদ-কোরাণের মত মানিয়া চলিবেন, এইরূপ কতকগুলি চাণক্য-নীতি আমি প্রচার করিাতেছি না। কিন্তু হিন্দুর ঘরে যখন স্বামীর উপরই স্ত্রীর সুখ-দুঃখ সৰ্ববিষয়েই নির্ভর করে, তখন তিনি ঠাকুর-দেবতার স্থানীয় হইযা আছেন, ॐ२८ ॐi२