জখন ধম্মিরাজ চতুরার বাহির হইল।৫৩৫
দক্খিন দুআরি বাঙ্গলা ভাঙ্গিয়া পড়িল॥
হাটি হাটি পৃদিপ রাজার সমস্ত নিবিতে লাগিল॥
জমুনার ঘাট সেও বন্দি হইল।
চৌদ্দখান মধুকর জলে ডুবিল॥
গুরু ই শিস্স পন্ত মেলা দিল।৫৪০
জত আছে সন্য সেনা সাজিয়া বাহির হইল॥
জোড় বাংলার নাট মন্দির হালিয়া পড়িল॥
রাজার জত সন্য সেনা কান্দিতে নাগিল।
খ্যাওয়া ঘাটে কান্দে রাজার বাইস কানো নাও।
বাইস কানো নাও কান্দে তেইস কানো দাড়ি।৫৪৫
গলেআর মাজি কান্দে বিসাসয় কাণ্ডারি॥
পিন্জারির মধ্যে কান্দে টিঠির ময়ুর।
শিকার করিতে কান্দে নও বুড়ি কুকুর॥
দুগ্ধ খাইতে কান্দে রাজার সোল কানো গাই।
পঞ্চাস কানো তালুক কান্দে আসি কানো ঠাঞি॥৫৫০
শয়ান করিতে কান্দে পুস্পের পালংকি।
বুড়া রাজার কালের কান্দে বাইস কানো হস্তি॥
বাইস কানো হস্তি কান্দে রুপুত করিয়া সুঁড়।
হস্তির উপর মাহুত কান্দে জ্যান পিপিড়ার মুট॥[১]
- ↑ গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠে পাই—গাছ কান্দে গাছানি কান্দে গাছর কান্দে পাতা।
বনর হরিনী কান্দে হেট করিয়া মাথা॥
কান্দে বেস্তার তালীমখানা॥
ঘাটিয়ালর ঘাটত কান্দে বাইস কাহন নাও।
বাইস কাহন নৌকা কান্দে তেইস কাহন ডাঁড়ি।
তার মাঝত মাঝত কান্দে বিসাগর কাণ্ডারি॥
হরিনর বালাখানা কান্দে ছোকরান হাওখানা।