সাত দিন নও রাত্রি চলি জঙ্গল বাড়ি দিয়া।
চান সুজ্য না দেখিলাম আমরা অভাগিয়া॥
এতই জদি জানেন তোমরা পন্থেতে জঙ্গল।
এও কথা কহিলেন না তোমরা মহলের ভিতর॥[১]৬৯
- ↑ ইহার পর একটি পাঠে পাই:—বিস্তর ঘোড়া ছাড়ি আইলাম আমি তবিলের ভিতর॥
একটা ঘোড়া আইনলাম জদি হয় নগের দোসর।
পাটে থাকি শমন রাজা জমের দুত সংবাদ পাইল।
গুরুই শিস্সে চড়ি গ্যালাম হয় ডাড়াইপুর সহর॥
হাড়ি বলে হারে বেটা এই তোর ব্যাবহার।
ডম্প কথা বলিস তুই আমার বরাবর॥
একটা ঘোড়া আনুলু হয় তুই নগের দোসর।
তুমি হইলেন হয় ঘোড়ার সোআর।
বৃদ্ধু দেখি আমাকে কহিলু হয় ঘাস কাটিবার॥
সন্ধ্যাকালে কহিলু হয় দানা সিদ্দ করিবারে।
হাড়ি দেখি কহিলু হয় আগে দৌড়িবারে॥
থাউক থাউক একনা দুক্খ পাঞ্জারের ভিতর।
ইহার শাস্তি হএছে তোর ঘড়িকের ভিতর॥
হুহু বলি হাড়ি হুঙ্কার ছাড়িল।
এক গুন জঙ্গল ত্রিগুন হইল॥
শুন্যের হাড়ি জায় শুন্যে চলিয়া।
জখন ধম্মিরাজা রাজা জঙ্গল দেখিল।
কপালে মারিয়া চওড় কান্দন জুড়িল।
দুই নয়নে প্রেম ধারা বহিতে নাগিল।
দুই হস্তে চক্খের জল মুছিতে নাগিল।
জঙ্গলত জাইয়া মহারাজা চিৎকার করিতে নাগিল॥
বার অঙ্গুল তৃন থোপ রাজার বুক্খে বসিল।
বুক ধরি ধম্মিরাজা কান্দন জুড়িল॥
গাঁজার নিসাতে হাড়ি পন্ত চলিতে নাগিল।
অকারন করিয়া রাজা কান্দন জুড়িল।