খিলি দেখিয়া[১] রাজার মনে হইল খুসি।
একেবারে তুলি দিল মুখে খিলি চারি পাচি॥
এক ডাবন দুই ডাবন তিন ডাবন[২] দিল।
মায় জে কইছে কথা মনত পড়িল॥[৩]
তিন ডাবন দিয়া খিলি ওকোলে ফেলিল।
ঐটে কোনা নটির মন খাপা হইয়া গ্যাল॥
কি তোরা পাইলেন রাজা খিলির ভিতর।
ঝারিতে জল আছে মুখ পাখল করিও।
দোসরা খিলি মুখে তুলিয়া দিও॥
জতকে ধম্মিরাজা সরি সরি জায়।
অভাগিয়া হিরা নটি গাও ঘেসিয়া জায়॥[৪]
- ↑ গ্রীয়ার্সন্ সাহেবের সংগৃহীত পাঠে পাই,—‘লং জায়ফল কর্পুর দেখিয়া
- ↑ গ্রীয়ার্সন্ সাহেবের সংগৃহীত পাঠে ‘ডাবন’ স্থলে ‘ঠাসন’।
- ↑ গ্রীয়ার্সন্ সাহেবের সংগৃহীত পাঠে এই স্থলে পাই,—
মাও যে করিছে বাধা মনত পড়িল।
পরদেশ যাইয়া যাদু পড়াও বহির্ব্বাস।
আগত খাইবে গিরিলোক পশ্চাৎ তল্লাস॥
অতিত বৈষ্ণব দেখিয়া না করিও হেলা।
গড় হয়ে পরনাম জানান যার গলত মালা॥
ফুল গোটেক দেখিয়া ফুল না পাড়িবু।
পাখি গোটেক দেখিয়া ডিমা না মারিবু॥
পরার স্ত্রী দেখিয়া হাস্য না করিবু॥
সরিসাতে সরু দুবলাতে হিন।
তখনে পাবু পরদেসর চিন॥
মাত্রর কথা যেন রাজার মনত পড়িল।
রাম রাম বলিয়া পানর খিলি ঢালিয়া ফেলাইল॥ - ↑ গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠ—কেনে কেনে পান না খাও রাজরাজেশ্বর।
তোর গুনে তপ করি এ বার বৎসর॥