এখন রাজা রাজাই করে পাটত বসিয়া।
জত রাজার আইয়ত প্রজা গ্যাল মহালে চলিয়া॥
ছাইলাক পাট দিতে মএনার হরসিত মন।
নানা বাদ্য ভাণ্ড করিল আরম্ভ॥
বন্দুকের জয় জয় ধোআয় অন্ধকার।৭০০
বাপে বেটায় চিনা না জায় ডাকা ডাকি সার॥
ঐ কথা শুনিয়া ব্রাহ্মন ঠাকুর না থাকিল রৈয়া।
হরিচন্দ্র রাজার বাড়ী গেল চলিয়া॥
হরিচন্দ্র রাজা বলিয়া তুলিয়া ছাড়ে রাও।
ঘরে ছিল হরিচন্দ্র রাজা বাহিরে দিলে পাও॥
পণ্ডিত ঠাকুর বলিয়া করে প্রনাম॥
দিব্য সিংহাসন বসিবার দিল।
কর্পূর তাম্বুল দিয়া জিজ্ঞাসা করিল॥
কেনে কেনে গুরু ব্রাহ্মন এত দুর গমন॥
ময়না পাঠাইয়া দিল তোমার বরাবর।
তোমার ঘরে কন্যা আছে অদুনা পদুনা।
তাক যুড়িবার চায় ময়না সুন্দর॥
ময়নার পুত্র আছে মহলের ভিতর।
তাকে বিয়া দিবার চায় ময়না সুন্দর॥
বা যা বলিয়া তা হুকুম দিল।
এ কথা সুনিয়া ব্রাহ্মন ময়নার মহলে গেল॥
ভারে লইল গুয়া সাইঙ্গে লইল পান।
গুয়া পান কাটিবার গেল ব্রাহ্মন পঞ্চ জন।
গুয়া পান কাটিয়া সুভাসুভ বুঝিল।
বিবাহের দিন তখনই করিল॥
সনিবার দিনা ময়না অধিবাস দিল।
রবিবার দিনা বিবাহ করিবার সাজিল॥
পঞ্চ গাছি কলার গাছ হরিচন্দ্র রাজার মহলত গাড়িল।
সোনালী চালুন বাতি তখনই ধরাইল॥