পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ের ইতিহাস । نايج পণ্ডিত শূরপাল আমরাজের সভা পরিত্যাগ করিয়া ধৰ্ম্মপালের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন। শুরপালের অপর নাম বপ্যভটি । বপ্যভট্টস্থরির সরস্বত্য স্তোত্রপাঠে জানা যায়, তিনি বীর নির্বাণের তের শত বর্ষ পরে উক্ত গ্রন্থ সমাপ্ত করেন । ৮২৫ সম্বতে বপ্যভট্টের মৃত্যু হয় । বৰ্দ্ধন কুঞ্জর নামক একজন বৌদ্ধ পণ্ডিতও ধৰ্ম্মপালের সভা অলঙ্কৃত করিয়াছিলেন। প্রাকৃত ভাষায় "গৌড়বহে|” নামক কাব্য-প্রণেতা কবিবর বাকৃপতি প্রথমতঃ যশোবন্মদেবের সভায়, অনন্তর কাশ্মীররাজ ললিতাদিত্যের সভায় থাকিয়া, শেষ সময়ে ধৰ্ম্মপালের সভার শোভা বৰ্দ্ধন করেন । - ধৰ্ম্মপাল গঙ্গার বামতীরে একটী পৰ্ব্বতের উপর বিক্রমশীলা নামক বিহার স্থাপন করিয়া তাহার ব্যয়-নিৰ্ব্বাহের জন্ত বিস্তর ভূমি দান করেন।* বিক্রমশীলা বিহারের অপর নাম বিক্রমশীল দেব মহাবিহার। এই বিহারের নিকট একশত সাতটা দেব-মন্দির প্রাকার বেষ্টিত ছিল। রাজা এখানে ছয়ট বিদ্যালয় স্থাপন করেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের জন্য এক শত আটজন পণ্ডিত নিযুক্ত ছিলেন । রাজা ভয়পালের সময় এই বিদ্যালয়গুলি ছয়ট দ্বারপণ্ডিতের তত্ত্বাবধানে অপিত হয়। দ্বারপণ্ডিতগণ, মহা পণ্ডিত ছিলেন। কোন দ্বারপণ্ডিতকে বিচারে পরাজিত করিতে না পারিলে, কেহ ভিতরে প্রবেশাধিকার পাইতেন না। জেতারিমুনি বিক্রমশিলুয়সত্ৰ (Hostel ) স্থাপন করেন। সত্রে ছাত্রগণ বিনাবারে আহাৰ্য্য প্লাইত। জেতারি বরেন্দ্রভূমির সনাতন নামক রাজার পুত্র ছিলেন ; পরে বৌদ্ধভিক্ষু শ্রেণীতে প্রবিষ্ট হন, অনুমান ৯৪০ খৃঃ অব্দে বিক্রমশীলা হইতে রাজা মহীপালের স্বাক্ষরিত প্রশংসাপত্র ও পণ্ডিত উপাধি পান। বিক্রমশিলার সঙ্গারামের ভিতর ঐক্লপ আরও চারিটা সত্র ছিল।

  • বর্তমান ভাগলপুরের নিকট সুলতান গঞ্জনামক স্থানে বিক্রমশিল বিহার ছিল। + ধৰ্ম্ম-পালের সময় ঐ বুদ্ধজ্ঞান পাদ, বিক্রম শিল বিহারের অধিনায়ক ছিলেন।