পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

୬୩୪) ଓଡ଼tirjiଗ । ԳS পাওয়া সভ্যতা ও সমাজ-সংস্কারের পরাকাষ্ঠ-প্ৰদৰ্শক কাৰ্য্য মনে কবিনেন। একদা রামনারায়ণ বাবু গোলদিঘিতে মদ খাইয়া টুপভূজুঙ্গ হইয়া রাত্ৰিতে বাটতে আসাতে তাহার মাতা ঠাকুরাণী অতিশয় বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “আমি আর কলিকাতার বাসায় থাকিব না, বাদলগ্রামের বাটীতে গিয়া থাকিব । * আনন্দ পাব পুলের আচরণের বিষয় অবগত হইয়া। তাছাকে পরিমিত মদ্যপায়ী করিবার জন্য একটা কৌশল অবলম্বন কবিলেন। সেই কৌশল অবলম্বন করাতে রামনারায়ণ বাবু প্ৰথম জানিতে পারিলেন যে বাবারও সবনস্পষ্ট আচার চলে। মদ্য পান বিষয়ে রামমোহন রায়ের শিষ্য ও হিন্দ কলেজের ছাত্ৰাদিগের মধ্যে প্ৰভেদ ছিল । রামমোহন রায়ের শিষ্যেরা অত্যন্ত পরিমিতপায়ী ছিলেন, চিন্দু কলেজের অধিকাংশ ছাত্ৰ এরূপ ছিলেন না । একবার রামমোহন রায়ের কোন শিষ্য অপরিমিত মদ্য পান করাতে রামমোহন রায় ছয় মাস তাহার মুখ দশন করেন নাই । আনন্দ বাবু পুত্রকে পরিসিতপায়ী করিবার জন্য যে কৌশল অবলম্বমা করিলেন তাহা বর্ণিত হইতেছে। সে কালে মুন্সী আমির আলি সদর দেওয়ানি আদালতের একজন প্ৰধান উকীল ছিলেন । এই মুন্সী আমির আলি পরে সিপাহী বিদ্রোহের সময় গবৰ্ণমেণ্টের উপকার করাতে নবাব উপাধি প্ৰাপ্ত হয়েন। যে বাটীতে সদর দেওয়ানী আদালত বসিত, সেই বাটীতেই