পাতা:গ্রীসদেশের ইতিহাস.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংস্থাপন পূর্বক প্রাচীন রীতির অমুসরণ করিল। পুৰ্ব্বে এথেন্সনগরে যেরূপ এরিয়োপেগস সভার কর্তৃত্ব ছিল, এখনও সেইঃপ হইল। ফলতঃ অতঃপর কিয়ংকাল এখিনিয়ের পরম সুখে ছিল। ফিলিপ ম্যাসিডোনিয়ার অধীশ্বর হইয়াযৎকালে গ্রীসদেশ জয় করতে আরম্ভ করেন, সেই সময়ে এথিনিয়দিগের পরস্পর গৃহবিচ্ছেদ উপস্থিত হওয়াতে উহার পুনরায় অসুখিত হয়। পারস্যদেশীয় সংগ্রামের আরম্ভ অবধি আলেগ্‌জাগুরের মৃত্যু পর্যন্ত এই দুই শত বৎসর কাল আটকায় বিদ্যার সম্যক অনুশীলন হয়। এই দুই শত বৎসরের মধ্যে প্রথম শতাব্দীতে কাৰ্য নাটক প্রভৃতি শঙ্কশাস্ত্ৰসকল উৎকর্ষের পরম সীমা প্রাপ্ত হইয়াছিল। শেষ শতাব্দীতে দর্শনাদি শাস্ত্রের সমধিক অনুশীলন হয় । দুই শতাব্দীর মধ্যে যে সময়ে পিলপনিসমবাসীদিগের সহিত এথেন্সের সংগ্রাম ঘটনা হয়, ঐ সময় সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিকতর প্রসিদ্ধ। ঐ সময়ে সফোক্লিস, ইয়ুরিপিডিস, আরিষ্টফেনিস, থিয়ুসিডিডিস এবং সক্রেটস এই কয় ব্যক্তি আপনাদিগের পণ্ডিত্য, বুদ্ধিমত্ত এবং ক্ষমতার পরিচয় প্রদান দ্বারা প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন । সক্রেটিস স্বয়ং কোন গ্রন্থ বচন করেন নাই, কিন্তু প্লেটে ও জেনোফন এই দুই শিষ্য হইতেই তাহার নাম ভুবনবিখ্যান্ত হইয়াছে। তিনি যথার্থ তত্ত্বজ্ঞানী ছিলেন । যে যে নিয়মের অনুসরণ ও যে যে কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিলে ঈশ্বরের আজ্ঞা প্রতিপালন করা হয় এবং মামুস্তুের সহিত মানুষের যেরূপ ব্যবহার করা উচিত, সক্রেটিসের পুর্ব পণ্ডিতগণ এ সকল বিষয় অবগত ছিলেন না। সক্রেটিস ঐ সকল বিষয় নিঃসন্দিগ্ধরূপে অবগত হন এবং ঐ সকল বিষয়ে অন্যকে শিক্ষা দান করেন। কিন্তু যে সকল ব্যক্তি জগতের ভ্রমনিরীকরণ করিবার মানসে স্বহৃদয়ঙ্করত মুত্তন মত প্রচার করেন, তাহাদিগের সচরাচর যে দুৰ্দশ ঘটিয় থাকে, সক্রেটিসের সেই দশ ঘটিয়াছিল । ভ্ৰমান্ধ দেশীয় লোকেরা তাহার নামে এই বলিয়। অভিযোগ করিল যে, সক্রেটিস সনাতন ধৰ্ম্মে অনাস্থ ও চিরসেবিত দেবগণে অনাদর প্রদর্শন করেন; অপর, তিনি যুবকগণকে কু প্রবৃত্তি দিয়া ৰিপথগামী ফরি