পাতা:চন্দ্রশেখর- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> વર 5 || 暖 নবাব, র্তাহার প্রতি বক্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন। সে দৃষ্টির অর্থ এই, “যতদিন না যুদ্ধ সমাপ্ত হয়, ততদিন তোমায় কিছু বলিৰ না—যুদ্ধকালে তুমি আমার প্রধান অস্ত্র । তার পর দলনী বেগমের ঋণ তোমার শোণিতে পরিশোধ করিব।” নবাব তাহার পর মীর মুন্সিকে ডাকিয় আদেশ প্রচার করিলেন যে, মুরশিদাষাদে মহম্মদ তকি খার নামে পরওয়ান পাঠাও ষে, যখন আমিয়টের নৌক মুরশিদাবাদে উপনীত হইবে, তখন তাছাকে ধরিয়া আবদ্ধ করে, এবং তাছার সঙ্গের বন্দিগণকে মুক্ত করিয়া, হুজুরে প্ৰেৰণ করে। স্পষ্ট যুদ্ধ না করিয়া কলে কৌশলে ধরিতে হইবে, ইহাও লিখিয়া দিও। পরওয়ান তটপথে বাহকের হাতে যাউক—অগ্ৰে পন্থছিলে । * ' नवाद অন্তঃপূরে প্রত্যাগমন করিয়া আবার শৈবলিনীকে ডাকাইলেন। বললেন, “এক্ষণে তোমার স্বামীকে মুক্ত করা হইল না । ইংরেজেরা তাহাদিগকে লইষা কলিকাতায় যাত্রা করিয়াছে । মুরশিদাবাদে হুকুম পাঠাইলাম, সেখানে তাহাদিগকে ধরিবে । তুমি এখন—” শৈবলিনী হাত ষোড় করির কছিল, “বাচাল স্ত্রীলোককে মার্জন করুন —এখন লোক পাঠাইলে ধরা যার না কি ?” লাব । ইংরেজদিগকে ধরা অল্প লোকের কৰ্ম্ম নহে। অধিক লোক সশস্ত্রে পাঠাইতে হইলে, বড় নৌকা চাই। ধরিতে ধরিতে তাহারা মুরশিল্পবাদ পৌছিবে। বিশেষ যুদ্ধের উদ্যোগ দেখিরা, কি জানি যদি ইংরেজের আগে বন্ধীদিগকে মারির ফেলে। মুরশিদাবাদে স্বচতুর- কৰ্ম্মচারী সকল আছে, তাহার কলে কৌশলে ধরিবে।