পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 চারিত্রিপূজা কৃত্রিম আদর্শে মানুষকে এইরূপ নির্বিবেক করিয়া তোলে। মেকী এবং খাটির এক দর হইয়া আসে। আমাদের দেশে আধুনিককালে পাপপুণ্যের আদর্শ কৃত্রিম হওয়াতে তাহার ফল কি হইয়াছে ? ব্রাহ্মণের পায়ের ধূলা লওয়া এবং গঙ্গায় স্নান করাও পুণ্য, আবার অচৌর্য্য ও সত্যপরায়ণতাও পুণ্য, কিন্তু কৃত্রিমের সহিত থাটি পুণ্যের কোনো জাতিবিচার না থাকাতে, যে ব্যক্তি নিত্য গঙ্গাস্নান ও আচারপালন করে, সমাজে অলুব্ধ ও সত্যপরায়ণের অপেক্ষা তাহার পুণ্যের সম্মান কম নহে, বরঞ্চ বেশি। যে ব্যক্তি যবনের অন্ন খাইয়াছে, আর যে ব্যক্তি জাল মকদ্দমায় যবনের অন্নের উপায় অপহরণ করিয়াছে, উভয়েই পাপীর কোঠায় পড়ায় প্ৰথমোক্ত পাপীর প্রতি ঘৃণা ও দণ্ড যেন মাত্রায় বাড়িয়া टठे । যুরোপে তেমনি মাহান্ত্যের মধ্যে জাতিবিচার উঠিয়া গেছে। ষে ব্যক্তি ক্রিকেটু খেলায় শ্রেষ্ঠ, যে অভিনয়ে শ্রেষ্ঠ, যে দানে শ্রেষ্ঠ, যে সাধুতায় শ্রেষ্ঠ, সকলেই গ্রেটুম্যান। একই-জাতীয় সম্মানস্বর্গে সকলেরই সদগতি । ইহাতে ক্ৰমেই যেন ক্ষমতার অর্ঘ্য মাহান্ত্র্যের অপেক্ষা বেশি। দাড়াইয়াছে। দলের হাতে বিচারের ভার থাকিলে, এইরূপ ঘটাই অনিবাৰ্য্য। যে আচারপরায়ণ, সে ধৰ্ম্মপরায়ণের সমান হইয়া দাড়ায়, এমন কি, বেশি হইয় ওঠে ; যে ক্ষমতাশালী, সে মহাত্মাদের সমান, এমন কি, তাহদের চেয়ে বড় হইয়া দেখা দেয়। যথার্থ ভক্তির উপর পূজার ভার না দিয়া লোকারণ্যের উপর পূজার ভার দিলে দেবপূজার ব্যাঘাত ঘটে। বারোয়ারির দেবতার যতো ধুম গৃহদেবতা-ইষ্টদেবতার ততো ধুম নহে। কিন্তু বারোয়ারির দেবতা কি মুখ্যত একটা অবাস্তর উত্তেজনার উপলক্ষ্যমাত্র নহে? ইহাতে ভক্তির b%ा ना ठूद्देश्व ऊख्द्रि अदभानना ठूग्न ना कि ? আমাদের দেশে আধুনিককালের বারোয়ারির শোকের মধ্যে