পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\&bo চারিত্রিপূজা দিলেও দাড়াইয়া থাকিতেন। পিতা চড়াচাপড় মারিয়া জোর করিয়া স্নান श्ब्रांझेंडन 's পাচছয়বৎসর বয়সের সময় যখন গ্রামের পাঠশালায় পড়িতে যাইতেন, তখন প্রতিবেশী মথুরামণ্ডলের স্ত্রীকে রাগাইয়া দিবার জন্য যে প্রকার সভ্য বিগৰ্হিত উপদ্রব তিনি করিতেন, বর্ণপরিচয়ের সর্বজননিন্দিত রাখালবেচারাও বোধ করি এমন কাজ কখনও করে নাই । নিরীহ বাংলাদেশে গোপালের মত সুবোধছেলের অভাব নাই । এই ক্ষীণতেজ দেশে রাখাল এবং তাহার জীবনীলেখক ঈশ্বরচন্দ্রের মত দুৰ্দান্ত ছেলের প্রাদুর্ভাব হইলে বাঙালীজাতির শীর্ণচরিত্রের অপবাদ ঘুচিয়া যাইতে পারে। সুবোধ ছেলেগুলি পাস করিয়া ভালো চাক্‌রিবাকুরি ও বিবাহকালে প্রচুর পণ লাভ করে, সন্দেহ নাই, কিন্তু দুষ্ট অবাধ্য-অশান্ত ছেলেগুলির কাছে স্বদেশের জন্য অনেক আশা করা যায় । বহুকাল পূর্বে একদা নবদ্বীপের শচীমাতার এক প্ৰবল দুরন্ত-ছেলে এই আশা পূর্ণ করিয়াছিলেন। কিন্তু একটা বিষয়ে রাখালের সহিত তাহার জীবনচরিতলেখকের সাদৃশ্য ছিল না। “রাখাল পড়িতে যাইবার সময় পথে খেলা করে, মিছামিছি দেরি করিয়া, সকলের শেষে পাঠশালায় যায়।” . কিন্তু পড়াশুনায় বালক ঈশ্বরচন্দ্রের কিছুমাত্ৰ শৈথিল্য ছিল না। যে প্রবল জিদের সহিত তিনি পিতার আদেশ ও নিষেধের বিপরীত কাজ করিতে প্ৰবৃত্ত হইতেন, সেই দুৰ্দম জিদের সহিত তিনি পড়িতে যাইতেন। সেও র্তাহার প্রতিকুল অবস্থার বিরুদ্ধে নিজের জিদূরীক্ষা । ক্ষুদ্র একগুয়ে ছেলেটি মাথায় এক মস্ত ছাতা তুলিয়া তাঁহাদের বড়বাজারের বাসা হইতে পটলডাঙায় সংস্কৃতকালেজে যাত্ৰা করিতেন, লোকে মনে করিত, একটা ছাতা চলিয়া যাইতেছে। এই দুৰ্জয় বালকের শরীরটি খৰ্ব্ব, শীর্ণ

  • সহােদর শম্ভুচন্দ্র DLLDS sBD BBDDDBBLDSDY ભૂમિ