পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਛ%ਨ


CCXCana

চারিত্রপূজা স্বীকার করিতেই হইবে, মৃত মান্য ব্যক্তির জন্য পাথরের মূৰ্ত্তি গড়া আমাদের দেশে চলিত ছিল না ; এই প্ৰকার মাৰ্ব্বলপাথরের পিণ্ডদানপ্ৰথা আমাদের কাছে অভ্যস্ত নহে। আমরা হাহাকার করিয়াছি, অশ্রুপাত করিয়াছি, বলিয়াছি, “আহা, দেশের এতো-বড় লোকটাও গেল”-কিন্তু কমিটির উপর স্মৃতিরক্ষার ভার দিই নাই । এখন আমরা শিখিয়াছি। এইরূপই কৰ্ত্তব্য, অথচ তাহা আমাদের সংস্কারগত হয় নাই, এইজন্য কৰ্ত্তব্য পালিত না হইলে মুখে লজ্জা हेि, কিন্তু হৃদয়ে আঘাত পাই না । ভিন্ন মানুষের হৃদয়ের বৃত্তি একরকম হইলেও বাহিরে তাহার প্রকাশ নানাকারণে নানারকম হইয়া থাকে। ইংরাজ প্ৰিয়ব্যক্তির মৃতদেহ মাটির মধ্যে ঢাকিয়া পাথরে চাপা দিয়া রাখে, তাহাতে নামধাম-তারিখ খুন্দিয়া রাখে এবং তাহার চারিদিকে ফুলের গাছ করে। আমরা পরমাত্মীয়ের মৃতদেহ শ্মশানে ভস্ম করিয়া চলিয়া আসি। কিন্তু প্রিয়জনের প্রিয়ত্ব কি আমাদের কাছে কিছুমাত্র অল্প ? ভালবাসিতে এবং শোক করিতে আমরা জানি না, ইংরাজ জানে, এ-কথা কৰৱ, এবং শ্মশানের সাক্ষ্য লইয়া ঘোষণা করিলেও, হৃদয় তাহাতে সায় দিতে °ङ्ग न} ।