বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাও— কল্যাণ লাভ কর এবং কল্যাণ দান কর— নিজের বাসনাকে উদাম করে না তুলে মঙ্গলময়ের শুভ ইচ্ছাকে নিজের অস্তরে বাহিরে সার্থক কর । ইতি ২০ অক্টোবর ১৯১৮ তোমার ভানুদাদা ©ዓ ২৭ অক্টোবর ১৯১৮ শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু রাণু, আমার ভ্রমণ শেষ হল। যেখান থেকে যাত্রা আরম্ভ করেছিলুম সেইখানেই আবার এসে ফিরেচি। সকলেই পরামর্শ দিয়ে থাকে ছুটি পেলেই স্থান এবং বায়ু পরিবর্তন করা দরকার— কিন্তু দেখা গেল সেটা যে অনাবশ্যক এবং ক্লেশকর সেইটে ভাল করে বুঝে দেখবার জন্যেই কেবল মনটাকে সম্পূর্ণ এবং সচেতন ভাবে ঢেলে দেওয়া। এই যে মাঠ আমার চোখে পড়চে এর কি দেখবার রস ফুরিয়ে গেচে– আর এই যে শিশিরার্স সকালবেলাটি তার কিরণ দলের মাঝখানে আমার মনকে মধুপানরত ভন্ধ ভ্রমরের মত স্থান দিয়েচে এ কি কোনোকালে এর বৃন্ত থেকে ঝরে পড়বে? আসল কথা, মনটা অসাড় হলেই তাকে সাড় দেবার জন্যে নাড়া দিতে হয়। তাই, আমাদের সাধনা হওয়া উচিত কি করলে আমাদের মন অসাড় না হয় – তা হলেই নিজের মধ্যে নিজের সম্পদ লাভ করতে পারি কেবলি বাইরের জন্যে ছট্‌ফট্‌ করতে হয় না। আমাদের যা কিছু সব ৯৭ >br ዘ ዔ