বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 S { ? ২৩ নভেম্বর ১১১৮] শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু রাণু, কাল তোমার চিঠি পেয়েচি। আমার চিঠিও নিশ্চয় তুমি পেয়েচ। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বেশ হাসিমুখে খুসি মনে সেই বাংলা মহাভারত এবং চারুপাঠ পড়চ। যে তোমাকে দেখচে সেই মনে করচে চারুপাঠের মধ্যে খুব মনোহর গল্প এবং তোমার শিশুমহাভারতের মধ্যে খুব মজার কথা কিছু বুঝি আছে। কিন্তু তারা জানেনা প্রায় দুশো ক্রোশ তফাৎ থেকে ভানুদাদা তোমাকে খুসি পাঠিয়ে দিচ্চে— এত খুসি যে, কার সাধ্য তোমাকে বিরক্ত করে বা রাগায় বা দুঃখ দেয়। আমি প্রায় সন্ধ্যাবেলায় সেই যে গান গাই “বীণা বাজাও মম অস্তরে” সেই গানটি তোমার মনের মধ্যে বরাবরকার মত স্বরলিপি করে লিখে রেখে দেবার ইচ্ছা আছে— মনটি গানের সুরে এমনি বোঝাই হয়ে থাকবে যে বাইরের তুফানে তোমাকে নাড়া দিতে পারবে না। শুধু তোমাকে বলচি নে, আমারও ভারি ইচ্ছে, নিজের ভরা মনটির মাঝখানে বেশ নিবিষ্ট হয়ে বসে বাইরের সমন্ড যাওয়া আসা কাদা হাসার অনেক উপরে স্থির হয়ে থাকতে পারি। আপনার ভিতরে আপনার চেয়ে বড় কাউকে যদি ধরে রাখা যায় তাহলেই সেই ভিতরের গৌরবে বাহিরের ধাক্কাকে একটুও কেয়ার না করবার শক্তি আপনিই আসে। সেই ভিতরের ধনকে ভিতরে পেয়ে ভিতরে ধরে রাখবার জন্যেই আকাঙ্ক্ষা করচি। বাহিরের কাছে যখনই কাঙালপনা করতে যাই তখনই সে পেয়ে বসে, তার আর দেীরাজ্যের অস্ত থাকে নী— সে যতটুকু দেয় তার চেয়ে দাবী ঢের বেশি করে— সে এমন মহাজন, যে, শতকরা পাঁচশো টাকা সুদ আদায় করতে চায়। সে শাইলক, সামান্য টাকা দেয় > ○○