বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে কি বোলবো। তার হাতে একটা কাজললতা ছিল, তাতে বনলতা লেখা ছিল। সে একটা গোলাপী বেনারসী পোরে ছিল। কিন্তু সে বড় অসভ্য কোরে ধুতি পোরে ছিল। যেই মোগল সরাইএ গাড়ী থামল অমনি তার চাকরাণী একজন লোককে দেখিয়ে বলল ও হচ্ছে একজন বরযাত্র ঘুমটা দে আর সেই কনেটী এত্তটা ঘুমটা দিল। তারা বাঁকীপুরে নামবে। তার সঙ্গে যার বিয়ে হয়েছে চাকরাণীটা বল্ল সে ৫৫ টাকা স্কলারশিপ পায়। এখন বিকেল হয়েছে আর গাড়ী চলছে। আজ পূর্ণিমা তাই রাত্তিরে কেমন চাদের আলো হবে। খুব গরম হচ্ছে। গাড়ীটা যা নড়ছে তাই লেখা এত বিচ্ছিরি হচ্ছে। কাল চারটের সময় আমরা আলীগড়ে পাঁছুব। সেখানে একদিন আমার মাসীমার বাড়ী থাকব। সেখানে মাসিমা কিন্তু নেই। আমার একজন মাস্তুত ভাই এক্লাআ সেখানে আছে। সেখান থেকে কালকায় যাব। জানেন, আমরা একটা প্রকাণ্ড টনেল পার হব। সেখানটা হচ্ছে অন্ধকার আর জল চোয়। কি মজা। সোলন থেকে সিমলে খুব কাছে। এখন আমাদের দুপাশে খালি মাঠ আর মাঝে মাঝে চার পাঁচটা গাছ আর গ্রাম। এখন অরোরা রোজ বোলে একটা ইষ্টিষাণে গাড়ী থেমেছে। এখানটায় অনেক গাছ। এখানে একটা গ্রাম দ্যাথা যাচ্ছে। এখন প্রায় সন্ধ্যে এখানে মাঠের ওপর সরু ২ রাস্তা দিয়ে কৃষকরা যাচ্ছে। এখন গাড়ী যাচ্ছে আর দু ধারে মাঠ। এখানে মাঠের ভেতর একটা দু তিন হাতের ছোট্ট নদী আর তার উপুর একটা ছোট্ট পুল। সেই পুলের উপুর দিয়ে লোক যাচ্ছে। আমারো যেতে ইচ্ছে কর্চে। কেমন ছোটো পুল। আর একটা ছোট্ট নদী কিন্তু এটাতে পুল নেই। খানিকক্ষপ পরে লিখছি। এখানে চারিধারে পাহাড় কিন্তু সেগুলোতে একটুও গাছ নেই। এখানে অনেক খেজুর গাছ। এখানে চারিধারে পাহাড় ঘেরা। এখানকার 8^రి