পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইত্যাদি । আসবার সময় দেখে এসেছিলুম লোকাভাবে পাঠভবনের শিক্ষাকার্য্যে বড় বড় ফাক পড়েছিল। জোড়াতাড়া দিয়ে কাজ চালাতে গিয়ে আমাদের বরাবর ক্ষতি হয়েচে । কিন্তু আমাদের সবচয়ে ক্ষতির কারণ এই যে, ওখানে র্যারা কাজ করেন তাদের পরস্পরের মধ্যে শ্রদ্ধা সহযোগিতা এবং আদশের ঐক্য আজ পর্য্যন্ত ঘটে নি। আমাদের ভারতবর্ষীয়দের মনে ব্যক্তিগত অভিমান তাদের সত্যসাধনাকে ছাড়িয়ে পদে পদে উদ্যত হয়ে ওঠে বলেই এটা ঘটে । তোমাদের কৰ্ত্তব্য হবে আশ্রমে নানা উপায়ে একটা সামাজিকতা গড়ে তোলা । পরস্পরকে মাঝে মাঝে নিমন্ত্রণ-আমন্ত্রণ করতে ভুলো না । রখী যদি প্রতিদিন পালা করে দুজন অধ্যাপককে আহারে নিমন্ত্রণ করেন ত অনেক গ্রন্থি শিথিল হয়ে যায়। ওখানকার যুরোপীয়দের সঙ্গেও আমাদের অধ্যাপকদের সর্বদা অ'লাপ আলোচনার উপলক্ষ্য থাকা উচিত। এখন দুইপক্ষ সমুদ্রের দুইকূলে বাস করেন— আমাদের বিশ্বভারতীর আদর্শের পক্ষে এইটেই সব চেয়ে ক্ষতিজনক। ভিতরে ভিতরে আমাদের দুই জাতে পরস্পরের মধ্যে যে একটা মৰ্ম্মগত অসহযোগিতা আছে সেটা ক্ষয় করতে না পারলে আমরা লক্ষ্যভ্রষ্ট হব । এই সাধনার দায়িত্ব বিশেষভাবে আমাদেরই— যদি অকৃতকাৰ্য্য হই তো সেজন্য প্রধানত আমরাই দোষী। কেননা আতিথ্যের ভার আমাদেরই উপর। দোষত্রুটি সকলেরই আছে। সেই ক্রটি সত্ত্বেও আমাদের কৰ্ত্তব্যকে সম্পূর্ণ করতে হবে। হাঙ্গেরি থেকে নতুন অধ্যাপক আসচেন— তিনি যেন এসেই না অনুভব bూని